Patuli Floating Market: বন্ধের মুখে পাটুলির ভাসমান বাজার (Patuli Floating Market)। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন বেহাল দশা, এমনই অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে উদ্বোধন হয় এই ভাসমান বাজারের। এ রকম বাজার আর কোথাও ছিল না বলে দাবি করে রাজ্য। কলকাতার অন্যতম গর্ব হয়ে উঠেছিল অল্প সময়ের মধ্য়ে। তবে এখন সেটাই যেন মাথার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে!
করোনার (Covid-19) ধাক্কা সামলে ধিকিধিকি চলছিল। তবে অবস্থার উন্নতি হয়নি। ফের কাজ, রুটিরুজির সঙ্কটের আশঙ্কায় রয়েছেন সেখানকার হকাররা (Hawkers)। আজ প্রায় ছ'মাস বন্ধের মুখে বাজার। ভেঙে গিয়েছে নৌকো। খসে পড়েছে কাঠের পাটাতন। আগের মতো দুর্গন্ধযুক্ত ডোবায় পরিণত হয়েছে। বসানো যাচ্ছে না বাজার, না আসছে ক্রেতা। পেটে গামছা বেঁধে দিন কাটাচ্ছেন হকাররা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ইএম বাইপাসের ধারে এখন যেখানে ভাসমান বাজার তা ছিল নোংরা জলের ডোবা। এখানে রাস্তা তৈরি করার কারণে ফুটপাথের হকারদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাঁদের পুনর্বাসন দিয়ে তবেই রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুনর্বাসনের জন্য সেতুর তলায় জায়গা করার কথা ভাবেন। তবে সায় ছিল না হকারদের। এরপরই ব্য়াংকক-পাটায়ার ধাঁচে ভাসমান বাজার তৈরির কথা ভাবেন তিনি। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। তৈরি হয় পাটুলির ভাসমান বাজার।
বন্ধ হয়ে যাবে পাটুলির ভাসমান বাজার?
হকার্স সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ হোসেন বলেছেন,"বাজার উঠে যাবে তা নয়। তবে তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধানও হচ্ছে না। বাজারের কাঠের পাটাতন- নৌকা ভেঙে গেছে, পুকুর অপরিষ্কার। ছ 'মাস ধরে বন্ধ বাজার। নৌকা খারাপ হয়ে গেছে তারও আগে।" তিনি এ-ও বলেন, "মাসখানেক আগে KMDA-এর সঙ্গে আলোচনা হওয়ার পর উদ্যোগ নেওয়ার কথা হয়। বাস্তব পরিস্থিতি বাজার চলছে না। বৃষ্টির জলে সমস্যা হচ্ছে। সরকার উদ্যোগ না নিলে আমাদের পুনর্বাসন ছাড়া পথ নেই। সরকার ব্যবস্থা না নিলে স্বপ্নের ভাসমান বাজার বন্ধ হয়ে যাবে।" পাশাপাশি, একটা নৌকা ৩০-৪০ বছর টেকে, সেখানে এক বছরের মধ্যে কীকরে নৌকা ভেঙে যায়, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এই বাজার উদ্বোধন নিয়ে ঢাক-ঢোল কম পেটানো হয়নি। এখন প্রশ্নের মুখে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া এই ভাসমান বাজরের ভবিষ্যৎ।