ধর্মতলায় বাসস্ট্যান্ডে ১২০ রাউন্ড কার্তুজ-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। আটক ব্যক্তির কাছ থেকে মেচেদার একটি টিকিট উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বাসে করেই ওই ব্যক্তি এসেছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ। কোথা থেকে কী উদ্দেশ্যে এই কার্তুজ আনা হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বাসে করে কলকাতায় আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হচ্ছে, গোপন সূত্রে এমনই খবর পেয়ে সাদা পোশাকে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে হাজির হন কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (STF) আধিকারিকরা। জেলা থেকে বাসস্ট্যেন্ডে এসে পৌঁছয় একটি সরকারি বাস। বাস থেকে নামতেই এক যুবককে পাকড়াও করেন তাঁরা। যুবকের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে শতাধিক রাউন্ড কার্তুজ। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নগদ টাকাও। ওই যুবকের নাম রামকৃষ্ণ মাঝি (২৬)। তিনি বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃত যুবকের কাছ থেকে মেচেদার বাসের টিকিট পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই যুবকের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। কোথা থেকে কার্তুজ আনা হচ্ছিল, এর নেপথ্যে কে বা কারা, কোথায় অস্ত্র পাচারের ছক ছিল – ধৃতকে জেরা করে এসব বিস্তারিত জানতে চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
কয়েকদিন আগেই ভিনরাজ্য থেকে অস্ত্র পাচার নিয়ে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্য থেকে অস্ত্র রাজ্য়ে পাচার করা হচ্ছে।
এর আগে কলকাতার এজেসি বোস রোড থেকেও এক যুবককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সাদ্দাম হোসেন নামে ওই যুবককে ধরা হয়। তার কাছ থেকে একটি ৭ মিমি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও আনন্দপুর থানা এলাকাতেও অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। রাত একটা নাগাদ তোপসিয়া রোড এলাকায় মহম্মদ ফায়েম ও মহম্মদ ফিয়াজ নামে দুই যুবককে দেখে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কথায় অসঙ্গতি হওয়ায় তাদের তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে পড়ে একটি দেশি ওয়ান শটার বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনই একটি সন্দেহভাজন বড় চক্রের অপারেটর। যাদের কাজ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করা এবং তারপর শহরে দুর্বৃত্তদের কাছে বিক্রি করা।