Second Hooghly Bridge: দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ আজ থেকেই ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ, বিকল্প রুট কী কী?

১৩, ১৪ এবং ১৫ জুন ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে যান চলাচল বন্ধ থাকবে এই হুগলি সেতু অর্থাৎ বিদ্যাসাগর সেতুতে। এই সেতুটি বর্তমানে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত সড়কপথ। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ এবং হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে এই সেতু দিয়ে। ফলে যান চলাচল একেবারে বন্ধ রাখা প্রায় অসম্ভব। সে কারণেই ধাপে ধাপে সংস্কারের কাজ চলবে বিদ্যাসাগর সেতুতে। 

জেনে নিন বিকল্প রুটগুলি
> তিনঘণ্টা লরির মতো ভারী পণ্যবাহী গাড়ি নিবেদিতা সেতু হয়ে কলকাতায় ঢুকবে। পাশাপাশি ছোট গাড়ি হাওড়া ব্রিজ দিয়ে চলাচল করবে। তবে এই ৩ দিন সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে ফের বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
> জিরাট আইল্যান্ডের দিক থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে যে সমস্ত গাড়ির বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে আসার কথা, সেগুলি টার্ফ ভিউ থেকে হেস্টিংস ক্রসিংয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তারপর গাড়িগুলি সেন্ট জর্জেস গেট রোড থেকে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজের দিকে যেতে পারবে। হেস্টিংস ক্রসিং থেকে কেপি রোডের দিকেও গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে।
> জওহরলাল নেহেরু আইল্যান্ডের দিক থেকে কেপি রোড হয়ে যে সমস্ত গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে আসবে, সেগুলিকে ১১ ফারলং গেট দিয়ে হেস্টিংস ক্রসিংয়ের দিকে পাঠানো হবে। সেন্ট জর্জেস গেট রোড থেকে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে সেগুলি হাওড়া ব্রিজে যেতে পারবে।
> খিদিরপুরের দিক থেকে সিজিআর রোড হয়ে যে সমস্ত গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে আসবে, সেগুলি হেস্টিংস ক্রসিং দিয়ে বামদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। সেন্ট জর্জেস গেট রোড থেকে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে সেগুলি হাওড়া ব্রিজে যেতে পারবে।
> কেপি রোড দিয়ে বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে আসা সব গাড়ি ওয়াই পয়েন্ট দিয়ে ১১ ফারলং গেটের দিকে পাঠানো হবে। সেগুলি রেড রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজে যেতে পারবে।

নিত্যদিন প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার গাড়ি যাতায়াত করে শহরের অন্যতম এই ব্যস্ত বিদ্যাসাগর সেতুতে। বিদ্যাসাগর সেতু ৩৩ বছর সম্পন্ন করেছে। ৮২৩ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ভারতে দীর্ঘতম কেবল সেতু হিসেবেই পরিচিত। সেতু নির্মাণের পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ২৭ বছর। স্টে কেবল, হোল্ডিং ডাউন কেবল, ডেক স্ল‍্যাব, এক্সপ‍্যানশন জয়েন্টগুলিরও আয়ু বেড়েছে। সেগুলি বদলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, কোনও সেতু দিয়ে টানা ২৫ বছরের বেশি গাড়ি যাতায়াত করলেই তা সংস্কার প্রয়োজন। নইলে যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ। ফলে এই সংস্কারের কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।