Advertisement

Tangra Incident: স্ত্রী-বৌদিকে খুন করেছেন তিনি, ট্যাংরাকাণ্ডে পুলিশের কাছে স্বীকার প্রসূন দে'র

কলকাতা ট্রিপল মার্ডার কেসে প্রসূন দে-এর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি তদন্তকারীদের কাছে। লালবাজার সূত্রের খবর, নিজের স্ত্রী এবং বৌদিকে খুন করেছেন তিনি নিজেই। অবশেষে তা তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করেছেন প্রসূন দে। ট্যাংরাকাণ্ডে এমনটাই দাবি লালবাজারের। লালবাজারের তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনায় প্রথমে প্রসূন দাবি করেছিলেন, সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে নিজেরাই নিজেদের হাত কেটেছিলেন। তবে এখন জেরায় তিনি তাঁর বয়ান পরিবর্তন করেছেন।

স্ত্রী-বৌদিকে খুন করেছেন তিনি, ট্যাংরাকাণ্ডে পুলিশের কাছে স্বীকার প্রসূন দে'রস্ত্রী-বৌদিকে খুন করেছেন তিনি, ট্যাংরাকাণ্ডে পুলিশের কাছে স্বীকার প্রসূন দে'র
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 01 Mar 2025,
  • अपडेटेड 8:59 AM IST

কলকাতা ট্রিপল মার্ডার কেসে প্রসূন দে-এর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি তদন্তকারীদের কাছে। লালবাজার সূত্রের খবর, নিজের স্ত্রী এবং বৌদিকে খুন করেছেন তিনি নিজেই। অবশেষে তা তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করেছেন প্রসূন দে। ট্যাংরাকাণ্ডে এমনটাই দাবি লালবাজারের। লালবাজারের তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনায় প্রথমে প্রসূন দাবি করেছিলেন, সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে নিজেরাই নিজেদের হাত কেটেছিলেন। তবে এখন জেরায় তিনি তাঁর বয়ান পরিবর্তন করেছেন। 

 আগে স্ত্রী রোমির হাতের শিরা ও গলায় কাটা হয় এবং পরে বৌদি সুদেষ্ণার হাতের শিরা কাটেন প্রসূন, এমনটাই সূত্রের খবর। রোমি প্রথমে নিজে বাঁ হাতে কাটার চেষ্টা করে ব‍্যর্থ হয়, তারপর প্রসূন কেটে দেয়। কাটার সময় রোমি ও সুদেষ্ণার মুখে বালিশ চাপা দেওয়া হয় যাতে আওয়াজ না বেরোতে পারে। রোমির ডান দিকের তলপেটে, দুই ঠোঁটে, ডানদিকের কাঁধে কালশিটে দাগ পাওয়া গেছে। যাতে মনে হচ্ছে প্রতিরোধ করেছে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় প্রসূন দে বাড়ির দুই বধূর হাত কাটার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। লালবাজারের হোমিসাইডের গোয়েন্দাদের প্রথম থেকেই নজরে ছিলেন দে বাড়ির এই দুই ভাই। এই দুই ভাইয়ের পরস্পরের বক্তব্যে বিস্তর অসংগতি ছিল বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে যখন তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীকালে এনআরএস হাসপাতালেও প্রসূন এবং প্রণয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

দু’জন বউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে না পারায় প্রসূন হাত কেটে দেন বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। হাত ও গলা কেটে আওয়াজ কমের জন্য বালিশ দিয়ে মুখও চাপা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রণয় স্বীকার করেছেন, পুলিশের কাছে পায়েসে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়েছে। রোমির প্রতিরোধের চিহ্ন মিলেছে শরীরের ডান দিকে কাঁধ, ডান পেটে ও ঠোঁটের উপর ও নীচে। তিনজনের ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। মানসিকভাবে সুস্থ করতে কলকাতা পুলিশের দেওয়া দাবা বোর্ডে দাবা খেলছে নাবালক।

Advertisement

এর আগে দে পরিবারের নাবালক শিশু সুরক্ষা কমিশনের সামনে বিষয়টি জানিয়েছিল ৷ কীভাবে তার কাকা হত্যাকাণ্ড এই ঘটিয়েছিল, তার বর্ননা দেয় ওই কিশোর। ওই কিশোর শিশু সুরক্ষা কমিশনে জানায়, পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করেছেন তার কাকা প্রসূনই। প্রসঙ্গত, গত ১৯  ফেব্রুয়ারি ট্যাংরা থানা এলাকার অটল শূর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি মৃতদেহ। ওই বাড়ির বধু সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে ও এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই দিনই ভোর রাতে বাইপাসের ধারে গড়ফা থানা এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই গাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রসূন, প্রণয় এবং এক নাবালককে। পরে জানা যায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ির আরোহীর সঙ্গে ট্যাংরাকাণ্ডে যোগ রয়েছে।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement