Left Front CPIM Slam Nupur Sharma: ১৫-২১ জুন সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী সপ্তাহ পালন করবে বামফ্রন্ট। সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শ্রমজীবী জনগণের ঐক্য ভাঙতে চায়। এ রাজ্যের শাসকদলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় বিভিন্ন জেলার কিছু কিছু এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এরই প্রতিবাদে, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে ১৫-২১ জুন সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী সপ্তাহ পালন করবে বামফ্রন্ট।
বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ
এদিন কলকাতায় ১৬টি বামপন্থী ও সহযোগী দলের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিমান বসু জানান, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেভাবে দেশের শ্রমজীবী জনগণের ঐক্য ভাঙতে নানা আঘাত হানছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, এই অপকৌশলের অংশ হিসাবে কিছুদিন আগে বিজেপির দুই মুখপাত্র প্রকাশ্যে ‘হজরত মহম্মদ’এর সম্পর্কে উসকানিমূলক অবাঞ্ছিত মন্তব্য করেছেন। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, পশ্চিমবঙ্গেও এ রাজ্যের শাসকদলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় বিভিন্ন জেলার কিছু কিছু এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এ সবের লক্ষ্য হল জনগণের জ্বলন্ত সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন: ব্রা ছাড়া Mia Khalifa, পরনে সবুজ প্যান্টসুট, যেন লেডি বস!
আরও পড়ুন: স্পার্ম কাউন্ট বাড়ায় আখের রস, কিডনি স্টোন সারাতেও দারুণ কাজের
আরও পড়ুন: তেতোর অনেক গুণ, হিসেব মতো না খেলেই ভয়ঙ্কর বিপদ
পথে বামেরা
তিনি জানান, বামপন্থী ও সহযোগী দলসমূহ এই অপকৌশল সম্পর্কে সচেতন থেকেই শ্রমজীবী জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগী ভূমিকা পালনের কথা ঘোষণা করেছে। সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫-২১ জুন, ২০২২ রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার্থে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী সপ্তাহ পালন করা হবে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে যে ২১ জুন বেলা ৩টে ৩০ মিনিটে কলকাতায় রামলীলা ময়দানে জমায়েত হয়ে মহাজাতি সদন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শান্তি মিছিল সংগঠিত করা হবে।
কারা থাকবে?
ওই কর্মসূচিতে সিপিআই (এম), সিপিআই, এআইএফবি, আরএসপি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, এসইউসিআই (সি), আরসিপিআই, এমএফবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বলশেভিক পার্টি, সিআরএলআই, সিপিবি, পিডিএস, আরজেডি, এনসিপি, জেডি (ইউ) থাকবে।
পয়গম্বর সম্পর্কে নূপুর শর্মার করা মন্তব্য নিয়ে শুক্রবার বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে। ওইদিন নমাজের পর বাংলা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা বিক্ষোভ হয়। বরখাস্ত হওয়া নূপুর বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। থানায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হাওড়া তপ্ত ছিল
হাওড়া ডোমজুড থানা আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিক্ষোভকারীরা থানা লক্ষ্য করে বড় বড় ইঁট এবং পাথর ছুড়তে থাকে। ভাঙচুর চালায়। পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করে এবং ১২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়।
উলুবেরিয়া নরেন্দ্র মোড়ের কাছে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বুথে ও পুলিশ পুলিশ ভ্যানে আগুন দিয়ে দেয়। জাতীয় সড়কের ওপর তা জ্বলতে থাকে। এর পাশাপাশি বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে হাওড়া শহরে জাতীয় সড়কের ওপর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়।
রেলের ট্র্যাকের ওপরে টায়ার জ্বালিয়ে রেল পরিষেবা অব্যাহত হাওড়া দাশনগর স্টেশন ছবি ধরা পড়েছে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। সলপে পুলিশের ওপর বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। চেঙ্গাইলেই রেল অবরোধ করা হয়। ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা নূপুর শর্মার গ্রেফরের দাবিতে প্ল্যাকার্ড বহন করে এবং বিজেপি নেতার কুশপুত্তলিকাও পোড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি রাজ্যে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।