Advertisement

Madan On Saugata: 'দিনকাল খুব খারাপ, ভেরি কেয়ারফুল', ভাইরাল ছবিতে এ কথাই বলছিলেন বলে দাবি মদনের

জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে মদন মিত্রের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। এ দিন তিনি ব্যাখ্যা দেন,'জয়ন্তর সঙ্গে কানে কানে কথা বলেছিলাম, দিনকাল খুব খারাপ। ভেরি কেয়ারফুল। এখনও যদি নিজেরা ঠিক না থাকো, তাহলে কিন্তু তোমরা মরবে।

মদন মিত্র ও সৌগত রায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 03 Jul 2024,
  • अपडेटेड 7:27 PM IST

আড়িয়াদহে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং। কামারহাটিতে মা ও ছেলেকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। জয়ন্তর বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক অভিযোগ। এনিয়ে তৃণমূলেরই দুই নেতার মধ্যে শুরু হয়ে টানাটানি। জয়ন্ত সিং মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেছেন সৌগত রায়। বুধবার দমদমের সাংসদকে পাল্টা দিয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর দাবি,'জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে ছবি রয়েছে সৌগত রায়ের। তিনি ক্রিমিনাল জেনেই কি আলিঙ্গন করেছিলেন, সেটা যদি না জেনে থাকেন, তাহলে আমিও জানতাম না'। 

জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে মদন মিত্রের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। এ দিন তিনি ব্যাখ্যা দেন,'জয়ন্তর সঙ্গে কানে কানে কথা বলেছিলাম, দিনকাল খুব খারাপ। ভেরি কেয়ারফুল। এখনও যদি নিজেরা ঠিক না থাকো, তাহলে কিন্তু তোমরা মরবে'।

সৌগতকে কটাক্ষ করে মদনের মন্তব্য,'সৌগতদার ৮০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকবারই উনি ভাষণ দিয়েছেন এবার শেষবারের জন্য মাটি দিতে হবে। আর লাগবে না। ওঁকে অসম্মান করতে পারব না। তিনি সমাজবিরোধী বলেছেন। আমার কাছে ছবি আছে, সৌগত রায় আসলিঙ্গন করছেন। উনি ক্রিমিনালকে না চিনতে পারলে, আমিও পারিনি'।

মদন আরও বলেন,'ওর ভাই মহামেডান দলের ফুটবল ক্যাপ্টেন। আমি ওকে চিনতাম না। ওদের ফুটবল খেলা দেখতে নিয়ে গিয়েছিল। ওখানকার নাগরিকরা বলেছেন, আপনার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। আপনার এই ছবিটা দেখিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করছে। তবে আমি যে কোনওমূল্যে গ্রেফতার করুন। আমি তাঁদের বলে এসেছি, দায় আমার, দায়িত্ব আমার। অপরাধ সংঘটিত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে সত্যাগ্রহ করব। আমিও ১০০ শতাংশ গ্রেফতারি চাই'।   

আড়িয়াদহের কেদারনাথ সিংহ রোডে থাকেন সায়নদীপ পাঁজা। শনিবার রাতে তিনি বাড়ির সামনে বন্ধু সূর্য দাসের সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। সেই সময় পথচলতি এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। এরপর ওই যুবক দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। যুবকটি স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য। ওই ক্লাবেরই মাথা জয়ন্ত সিং। জয়ন্ত আড়িয়াদহের শখেরবাজার এলাকার বাসিন্দা। সে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। সায়নকে বাঁচাতে গিয়ে মা বুবুন পাঁজাকেও এলোপাথারি মারা হয়। মা ও ছেলে এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় কৃষ্ণেন্দু দাস সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement