বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। শুক্রবার সন্ধেয় একটি লরি ধাক্কা মারে মদনের বাইকে। পড়ে যান বিধায়ক। চোট লাগে তাঁর হাঁটুতে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন তিনি।
এ দিন বাইক চালিয়ে বেলঘরিয়ার রথতলার ১৭ পল্লি নাগরিক সমিতির পৌষ পার্বণ উৎসব ও পুষ্প প্রদর্শনীতে যাচ্ছিলেন মদন মিত্র। পথে রথতলায় একটি লরি ধাক্কা মারে তাঁর বাইকে। আহত হন মদন। নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী নার্সিংহোমে। প্রাথমিক চিকিৎসা করান বিধায়ক।
বেলঘরিয়ার রাস্তায় যানজট এড়াতে এক পরিচিতের এনফিল্ড বুলেট বাইক ধার নেন মদন মিত্র। রথতলা মোড় থেকে ডান দিকে ঘুরতেই একটি লরির সঙ্গে মদন মিত্র বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ডান পায়ের হাঁটুর কাছ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপরই দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নার্সিংহোমে। প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাতত সুস্থই আছেন মদন মিত্র। পরে ১৭ পল্লি নাগরিক সমিতির পৌষ উৎসবে যান।
মদন মিত্র বর্ণনা দিয়েছেন, তাঁকে বাঁচাতে রাস্তায় পাঁচশো লোক ঘিরে ছিল। লরির চালককে ইশারা করলেও তিনি বুঝতে পারেননি। ডান দিকে চেপে দিতে বাইকের একটি কাঁচ ভেঙে যায়। তবে ক্লাচ হাত থেকে ছাড়েননি তিনি। কার্যত লরির তলায় চলে যায় তাঁর বাইক। লরির চালককে মারধর করতে উদ্যত হন স্থানীয়রা। তাঁদের থামিয়ে বিধায়ক বলেন,''চালক নিজেকে বাঁচানোর জন্য গাড়ি এগিয়ে নিয়ে গেলে মাথার উপর দিয়ে চলে যেত লরি।''
সংবাদ মাধ্যমে কামারহাটির বিধায়ক বলেন,'চোট বেশি গুরুতর নয়। বুলেটটায় উঠে নার্সিংহোমের সামনে দিয়ে আসছি। আমাকে বাঁচাবার জন্য ঘিরে ধরেছে পাঁচশো-হাজার মানুষ। আমার মাথাটা লরির তলায় ছিল। সবাই মারব মারব করছে। বললাম, লরি চালককে বাঁচা। ওর গাড়ির তলায় আমার মাথা। ইঞ্জেকশন, প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছি। হাতে স্লিং করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। নিইনি। এখন ভাল আছি। সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মৃত্য়ুমুখ থেকে ফিরে এলাম। ওহ লাভলি নতুন জীবন পেলাম।'