নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা নিয়ে এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিষয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন তিনি। অধিবেশন চলাকালীন রেশন-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কথায় কথায় আদালতে চলে যাচ্ছে। তাই নতুন করে নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। আদালতে মামলা লড়তে লড়তে সরকারের সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন। যার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল শিবির। অন্যদিকে এই ইস্যুতে লাগাতার সুর চড়িয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলিও। ইতিমধ্যে বেশকিছু মামলাও চলছে আদালতে। আদালতের নির্দেশেই অবৈধ নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এমনকী এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিভিন্ন সময়ই আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে।
সেক্ষেত্রে এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। কারণ সামনের বছরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই জায়গা থেকে জনসমক্ষে ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে এখন দলীয় ভাবে তো বটেই, প্রশাসনিক ভাবেও বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগকে খণ্ডন করে পাল্টা আক্রমণে যেতে চাইছে শাসক পক্ষ। সেই রণকৌশল থেকেই হয়ত এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিধানসভায় সুর চড়িয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বিরোধীরা খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ-দুর্নীতিকে অস্ত্র করতে চাইবে। আর সেটাই হতে দিতে চাইছে না রাজ্যের শাসকদল।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ
তবে রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা যে খারাপ তা অবশ্য আগেও বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। আর এর জন্য মূলত কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন তিনি। কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না বলেই বিভিন্ন সময় অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। যদিও কোষাগারের এই কঠিন অবস্থার মধ্যেও তাঁর সরকার যতটা সম্ভব চেষ্টা করে চলেছে বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।