Advertisement

Mamata Banerjee: রাজ্যে ৪৮ হাজারের বেশি ধর্ষণ মামলা ঝুলে, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালুই হয়নি, মমতার সেই চিঠির জবাব দিল কেন্দ্র

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন নিয়ে কঠোর আইন আনার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, রাজ্য সরকার নিজেই কেন্দ্রের অনুমোদিত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Aug 2024,
  • अपडेटेड 4:41 PM IST
  • ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন নিয়ে কঠোর আইন আনার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • তবে তার জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, রাজ্য সরকার নিজেই কেন্দ্রের অনুমোদিত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন নিয়ে কঠোর আইন আনার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, রাজ্য সরকার নিজেই কেন্দ্রের অনুমোদিত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ২৫ অগাস্ট মমতাকে চিঠির মাধ্যমে এই বিষয়টি জানান।

কেন্দ্রের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৪৮,৬০০টিরও বেশি ধর্ষণ ও পকসো (POCSO) মামলার বিচার ঝুলে রয়েছে। এতো সংখ্যক মামলা থাকা সত্ত্বেও, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের অনুমোদিত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলিকে কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়নি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র সরকার দেশে ধর্ষণ ও পকসো মামলার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রকল্প চালু করেছিল। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রথমে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট অনুমোদন করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২০টি কোর্ট পকসো মামলার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যে একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টও চালু হয়নি।

২০২৩ সালের ৮ জুন রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছিল যে তারা এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চায়। সেই মোতাবেক কেন্দ্র ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অনুমোদন দেয় রাজ্যের জন্য। কিন্তু ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মাত্র ৬টি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট কার্যকর করা হয়েছে। কেন্দ্রের অভিযোগ, বাকী ১১টি কোর্ট এখনও চালু করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ।

কেন্দ্রের চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য সরকার মহিলা (১৮১) এবং শিশু (১০৯৮)-দের সাহায্য করার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেনি, এমনকি 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম'ও কার্যকর করা হয়নি। এর ফলে রাজ্যের মহিলা ও শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী চিঠির শেষে রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন।

Advertisement

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেশে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোজ গড়ে ৯০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তিনি অবিলম্বে কঠোর আইন আনার দাবি জানান এবং ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আর্জি জানান। মমতা প্রস্তাব করেন যে, ঘটনার ১৫ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। সেই চিঠিরই জবাব দিল কেন্দ্র।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement