গোয়াতে তৃণমূলের ৪ নেতা মিটিং করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের মিটিং করতে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, 'BJP শাসিত রাজ্যগুলিতে তৃণমূলকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অসম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড সব জায়গায় আমাদের আটকানো হচ্ছে। গোয়াতেও এদিন আমাদের আটকানো হয়েছে।'
এরপরই তিনি বলেন, ' গোয়াতে আমাদের ৪ নেতা সোমবার গিয়েছেন মিটিং করতে। তাঁদের অনুমতি নেওয়া ছিল। অথচ আমাদের মিটিং করতেই দেওয়া হল না। আমাদের নেতারা রাস্তায় মিটিং করেছে । BJP-কে বলব, ওসব ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা লড়াই করতে জানি। আমরা রাস্তায়, চায়ের দোকানে বসে মিটিং করব। প্রতিটি চায়ের দোকানে তৃণমূলের কর্মীরা ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সব জায়গায় মিটিং করতে জানি। আমাদের দল রাস্তা থেকেই উঠে এসেছে। তাই অনুমতি দেওয়া হোক আর না হোক, তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না।'
প্রসঙ্গত, এদিন শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠী ও ললিত ত্রিপাঠী৷ তাঁদের প্রসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কংগ্রেস ছেড়েই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
গোয়ায় তৃণমূলের কর্মসূচি বাতিল করেছে প্রশাসন। এই অভিযোগ করে টুইটও করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। টুইটবার্তায় লেখা, তৃণমূলের প্রতি মানুষের ভালবাসা দেখে গোয়ার সরকার সম্ভবত বিচলিত হয়ে পড়েছে।'
আবার AITC - গোয়ার তরফেও টুইট করে অভিযোগ করা হয়েছে, '৪ দিন আগে থেকে সোমবারের মিটিংয়ের অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু, এখন আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্ন তুলে আমাদের মিটিং করতে দেওয়া হল না।'
প্রসঙ্গত, গত মাসে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। তারপরই গোয়ায় দলীয় কার্যকলাপ শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।