Advertisement

ঘেরাও-অশান্ত মেডিক্যাল কলেজ, রোগী পরিষেবা বিপর্যস্ত, হাইকোর্টে মামলা

দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দাবি জানিয়ে আসছেন মোডিক্যালের পড়ুয়ার। এই নিয়ে আগেও বহুবার উত্তপ্ত হয়েছে হাসপাতালের পরিস্থিতি।  অবশেষে সোমবার থেকে অবস্থানে বসেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে। আর তাঁদের এই আন্দোলনকে ঘিরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে পরিষেবার প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ।

মেডিক্যাল কলেজমেডিক্যাল কলেজ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 06 Dec 2022,
  • अपडेटेड 1:42 PM IST
  • অশান্ত মেডিক্যাল কলেজ
  • ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ঘেরাও
  • পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ

আবারও শিরোনামে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে তুলকালাম হাসপাতাল চত্বরে। সকাল থেকে ধুন্ধুমার চলে গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। যার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। ঘটনায় এক রোগীর পরিবারের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও রুজু করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সোমবার রাত থেকেই ঘেরাও হাসপাতালের অধ্যক্ষ, অধ্যাপকেরা। হাসপাতাল থেকে বেরোতেই দেওয়া হয়নি তাঁদের। এরপর আজ সকালে নার্সিং স্টাফরা তাঁদের বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়াতে গেলে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গোটা পরিস্থিতির জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন অনেকে। এদিকে এই অবস্থায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা রুজু করেন এক রোগীর আত্মীয়। বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দাবি জানিয়ে আসছেন মোডিক্যালের পড়ুয়ার। এই নিয়ে আগেও বহুবার উত্তপ্ত হয়েছে হাসপাতালের পরিস্থিতি।  অবশেষে সোমবার থেকে অবস্থানে বসেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে। আর তাঁদের এই আন্দোলনকে ঘিরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে পরিষেবার প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভাগগুলিতে শুরু হয়েছে বিশৃঙ্খলা। কারণ আউটডোরে ভিড় লেগে থাকে এইসময়ে। বহু দূর থেকে চিকিৎসকদের কাছে আসেন রোগীরা। অনেক রোগীকে দেখতেও আসেন আত্মীয়স্বজনরা। কিন্তু এই অচলাবস্থার কারণে বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন

অন্যদিকে সাংবাদমাধ্যমের সামনে এক নার্সিং স্টাফ অভিযোগ করেন, 'সব সময় মেয়েদেরকে নিচু করে দেখা হয়, এখানে আমাদের নার্সিং সুপার ম্যাডামকে আটকে রেখেছে, তার একটাই উদ্দেশ্য, ম্যাডম যদি বেরিয়েও আসেন, কোনও ফ্যাকাল্টি, এইচওডি এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না।'

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে উত্তেজনা-ঘেরাও-অশান্তি এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার এই ধরনের ঘটবার সাক্ষী থেকেছে শহর কলকাতা তথা গোটা রাজ্য। এবার মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা সেই তালিকায় নবতম সংযোজন। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement