Advertisement

Mukundapur Couple Body: মুকুন্দপুরে ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ, ছেলে-বউমার অত্যাচার?

সাতসকালেই ভয়ঙ্কর ঘটনা মুকুন্দপুরে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাবা - মাকে খুনের অভিযোগ করেছেন নিহতদের বিবাহিতা মেয়ে।

প্রতীকি ছবিপ্রতীকি ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Apr 2025,
  • अपडेटेड 11:32 AM IST

সাতসকালেই ভয়ঙ্কর ঘটনা মুকুন্দপুরে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাবা - মাকে খুনের অভিযোগ করেছেন নিহতদের বিবাহিতা মেয়ে। 

জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতেই পূর্ব যাদবপুরের মুকুন্দপুরে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ দম্পত্তির ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত দম্পতির নাম দুলাল পাল  ও রেখা পাল। গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে আর ওই দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বাইরে থেকে ফ্ল্যাটের লোহার দরজা তালা বন্ধ ছিল। দম্পতির খোঁজ নিতে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। 

মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগ, তাঁর বাবা-মার উপর অত্যাচার করতেন  ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ নিহত দুলাল ও রেখা পালের ছেলে ও পুত্রবধূ। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তবে সেটি ওই দম্পতির কারও লেখা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটের ডাইনিং রুমে পাওয়া যায় দুলাল  পালের দেহ। রেখাদেবীর দেহ উদ্ধার হয় শোওয়ার ঘর থেকে। আপাত ভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগ, তাঁর দাদা ও বৌদি মিলেই বাবা-মাকে খুন করেছেন। তাঁর দাবি, বাবা-মার উপর অত্যাচার চালাতেন দাদা-বৌদি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে বছর খানেক আগে মৃত ওই দম্পতির ছেলে সৌরভ পালের বিয়ে হয়। পুত্র ও পুত্রবধূ দম্পতির উপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। মৃত দম্পতির মেয়ে সঙ্গীতা সেনাপতি বলেন, “আমার বাবা-মাকে ওষুধ খেতে দিত না। অথচ এখানকার পার্টির লোককে ভুয়ো ওষুধ দেখিয়ে বলত, ওষুধ খেতে দিই। খেতে দিত না। প্রতিদিন অত্যাচার করত। দাদার বউ মারধর করত। ছেলে মারত। দেওয়ালে মাথা ঢুকে দিয়েছিল। মা-বাবা আমাকে জানিয়েছিল।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলে সৌরভ পাল ও বউমা কল্যাণী পালের সঙ্গে মুকুন্দপুরের ফ্ল্যাটে থাকতেন ওই দম্পতি। যদিও ঘটনার সময় ছেলে-বৌমা বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে।  জানা গিয়েছে, দম্পতির ছেলে ও বৌমা দু’জনেই চাকরি করেন। মা-বাবার সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক ভাল ছিল না বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। অভিযোগ, মাঝে মাঝেই তাঁদেরকে মারধর করা হত। মঙ্গলবার সকালেও মৃত দম্পতির সঙ্গে এক দফা ঝগড়া হয়েছিল ছেলে-বৌমার। তার পর তাঁরা যে যাঁর মতো কাজে বেরিয়ে যান। দম্পতির মেয়ের দাবি, বাবা - মাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে ভাই ও ভাইয়ের বউ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দম্পতির ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement