ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই চালু হওয়ার কথা ছিল নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোর প্রসারিত অংশ। কিন্তু মার্চের প্রায় এক সপ্তাহ শেষ হতে চলল। তা সত্ত্বেও চালু হল না ৫.৪ কিলোমিটারের ওই রুটের বাণিজ্যিক পরিষেবা। মেট্রো কর্তৃপক্ষও পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে সাড়া-শব্দ দিচ্ছে না। এদিকে ইএম বাইপাস এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের সংযোগস্থলে মেট্রোর কাজের জন্য যানজট এখনও অব্যহত।
রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (CRS), নর্থ ফ্রন্টিয়ার সার্কেল ৩০ জানুয়ারী পরিদর্শন করেছিলেন। কিছু সুপারিশ-সহ সিআরএস অনুমোদন ৭ ফেব্রুয়ারি আসে।
কলকাতা মেট্রোর তরফে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কমার্শিয়াল রান শুরুর আগে সিআরএস যে পরিবর্তনগুলি চেয়েছিল তা করা হয়েছে৷ একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট সিআরএস-এ পাঠানো হবে। তারপরে রেলওয়ে বোর্ডের কাছ থেকে বাণিজ্যিক রান শুরু করার জন্য একটি তারিখ চাওয়া হবে। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ছিল, বিশেষ করে সত্যজিৎ রায় স্টেশনে (হাইল্যান্ড পার্কের কাছে)। সেগুলোও সমাধান করা হয়েছে। স্টেশনটি ফায়ার (এবং জরুরী পরিষেবা) বিভাগ থেকে এনওসিও পেয়েছে।
সিআরএস প্রসারিত ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং চালু না হওয়া পর্যন্ত সুরক্ষা প্রোটোকল জানতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন অন্য এক আধিকারিক। তিনি জানান, নিউ গড়িয়া স্টেশনে ইন্টারলকিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, ট্রেনগুলি প্রসারিতের একপাশে চলবে। তবে ইন্টারলকিংয়ের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে। তবে ট্রেন চলবে একমুখী। একটি ট্রেন যাত্রার এক পর্যায় শেষ ফিরে আসবে। যেমন জোকা-তারাতলা রুটে চলছে। উন্নত সিগন্যালিং ব্যবস্থা না থাকায় একই সময়ে দুটি ট্রেন চলতে পারবে না।
অভিষিক্তার কাছে ইএম বাইপাসের মোড়ের চারপাশে ট্র্যাফিকের সমস্যা এখনও অব্যহত। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড সংযোগকারী রাস্তায় দিয়ে গড়িয়ার দিকে যাওয়া গাড়িগুলিও যানজটের মুখে পড়ছে রোজই। অভিষিক্ত ক্রসিং থেকে ডান দিকে মোড় নেওয়ার বাধাগুলি এখনও অনেক জায়গায় রয়েছে।
রাস্তা জুড়ে কালভার্টের নিচ দিয়ে একটা খাল চলে গেছে। খালের কিছু অংশ খোলা, এবং রাস্তার উপরিভাগ মেরামত করা প্রয়োজন। এলাকায় পর্যাপ্ত সাইনবোর্ডও প্রয়োজন। মেট্রোর কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্তুপ জমে রয়েছে।
স্ট্রেচটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়ে গেলে, নিউ গড়িয়া (কবি সুভাষ) হবে প্রথম মেট্রো স্টেশন যা দুটি মেট্রো করিডরের মধ্যে একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে কাজ করবে - ব্লু লাইন (নিউ গড়িয়া এবং দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে) এবং অরেঞ্জ লাইনের (মাঝখানের মধ্যে) কাটা অংশ। নিউ গড়িয়া এবং বিমানবন্দর)।
মেট্রো রেলওয়ের মুখপাত্র কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এই মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক রান শুরু করা সম্ভব হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।