ভরসন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটে ভারতীয় জাদুঘরের অনতিদূরে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। সিআইএসএফ জওয়ানদের ক্যাম্পে গুলি চলেছে বলে খবর। প্রাথমিক খবর, এক সিআইএসএফ কনস্টেবল একে-৪৭ রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। আহত হয়েছেন সিআইএসএফ-এর এক কনস্টেবল এবং এক অফিসার গুলিবিদ্ধ হন। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। জখম সিআইএসএফ কনস্টেবলকে বাঁচানো যায়নি। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার।
জানা গিয়েছে, সিআইএসএফ জওয়ান নিজের একে-৪৭ থেকে সহকর্মীদের উপর গুলি চালান। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। তাঁকে নিরস্ত্র করতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের। ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন ওই কনস্টেবল। তাঁর হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। কলকাতা পুলিস ও কম্যান্ড বাহিনী ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে ভিতরে ঢোকেন পুলিশ কর্মীরা। সাড়ে ৬টা থেকে তাঁকে ধরার জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছিল। অবশেষে ৮টা নাগাদ ধরা পড়েন ওই 'ঘাতক' জওয়ান।
ওই 'ঘাতক' জওয়ান নিজের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে আত্মসমর্পণ করেননি তিনি। ভিতরেই ছিলেন। তাঁকে ধরার জন্য ভিতরে ঢোকে পুলিশ ও কম্যান্ডবাহিনী। মূল অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। দেড় ঘণ্টা শেষে তাঁকে আয়ত্তে আনা গিয়েছে। .
কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন,'বিকেলে সাড়ে ৬টা নাগাদ। গুলি চালানোর খবর পাই। কমব্যাট টিম এখানে চলে আসে। সিআইএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। অ্যাসিসট্যান্ট কনস্টেবল মারা গিয়েছে। আর একজন অফিসার জখম।' কেন জওয়ান গুলি চালাল? বিনীত গোয়েল জানান,এটা তদন্তের পরই বলা সম্ভব।
আরও পড়ুন- দুয়ারে নিম্নচাপ, বাড়ছে বর্ষার শক্তি? ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস