রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ সোমবার বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলিকে তাঁদের চিকিৎসার খরচের হার এবং বিভিন্ন চার্জ কত হবে, তা চূড়ান্ত করে পশ্চিমবঙ্গ ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে সিনিয়র সরকারি ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-সহ একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কমিশনের বেশ কয়েকটি খসড়া সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
একটি খসড়া সুপারিশে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন বলেছে, “সমস্ত ক্লিনিকাল প্রতিষ্ঠানগুলি কমিশনকে তাদের প্রতিবছরের খরচ জানাবে। পরবর্তী আর্থিক বছরে ওই চার্ট অনুযায়ী ডায়াগনস্টিক এবং তাদের ইন-হাউস ফার্মেসিতে ইনডোর রোগী বিভাগ এবং আউটডোর রোগী বিভাগের চিকিৎসার খরচ ঠিক হবে।
আরও পড়ুন-বকেয়া DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? নজরে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত শুনানি
কমিশনকে পাঠানো হিসেব যাচাই করে তার অনুমোদন দেবে কমিশন। প্রয়োজনে সংশোধনও করা হবে। বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলি বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের বলেছে যে, বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের খরচ তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে।
একটি খসড়া সুপারিশে বলা হয়েছে যে ,একটি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম ভর্তির সময় অগ্রিম হিসাবে ৫০ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। কোভিড মহামারী চলাকালীন, বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ভর্তির সময় অগ্রিম হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশনের নির্দেশ, যদি একজন রোগী অগ্রিম অর্থ প্রদানের অবস্থায় না থাকেন, তবে তাকে ভর্তি হতে হবে এবং ভর্তির ১২ ঘন্টার মধ্যে স্বজনরা অর্থ প্রদান করতে পারেন।