রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের হাওয়া এখনও বইতে শুরু করেনি। তার মধ্যেই দলবদল করলেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। সোমবারের এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে দাঁড়ালেও তাঁকে হারাবে ভারতীয় জনতা পার্টি।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর হচ্ছে। এই অভিযোগে এদিন বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত দলীয় বিধায়কদের নিয়ে পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, 'গতবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে হারিয়েছি। এবার যদি ভবানীপুরে দাঁড়ান। তাহলেও আমরা তাঁকে হারাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে সেফ সিট হল মেটিয়াবুরুজ। তবে ওখানে যদি নওশাদ দাঁড়ায়, তাহলে হেরেও যেতে পারেন।'
তাপসী মণ্ডলের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'এরকম যোগদান আমি অনেক দেখেছি। তাপসী আগে সিপিআইএম-এ ছিলেন। পরে বিজেপিতে আসেন। এখন তৃণমূলে। তবে হলদিয়ার একটা হিন্দুও তৃণমূলকে সমর্থন করেন না। তাই ভয় পাচ্ছি না। হলদিয়াতেও আমরা জিতব।'
প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভা অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে স্পিকারের বচসা শুরু হয়। বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শাল ডেকে শঙ্কর ঘোষ ও মনোজ ওরাওঁকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে আক্রমণ করেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আজ সোমবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা আসার কথা ছিল। তিনি আসেননি। আসেন না। ভাঙা-গড়ার খেলা খেলছেন। বিজেপি বিধায়কদের প্রায় সভা থেকে বের করে দিচ্ছেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দেন না। মার্শালদের দিয়ে বিধায়কদের বের করে দিয়ে গুন্ডামির পরিচয় দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ১৯ তারিখ বারুইপুরে মিছিল করা হবে।'