Suvendu Adhikari on KMC Elections: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কলকাতা পুরভার ভোট করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ করার অধিকার নেই। কেন দু'ঘণ্টা বৃষ্টি হলে কলকাতা টেমস হয়ে যায়? তৃণমূলকে বিঁধে এই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
একটাই পোস্ট
এদিন (Suvendu Adhikari) তিনি রাজভবন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'ওঁকে ১৪ তলা থেকে যা শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাই বলছেন। এখানকার সৌমেন মিত্র বলুন আর যে-ই মিত্র বলুন, এঁদের নিজের কোনও ভয়েস নেই। ১৪ তলা থেকে যা হয়, এখানে একটাই পোস্ট বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। কাজেই সৌমেন মিত্রর কোনও রিঅ্যাকশন আমার দেওয়ার দরকার নেই।'
তাঁর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ করার অধিকার নেই। ১৫ বছর নির্বাচিত বোর্ডে রয়েছে। দেড় বছর মনোনীত প্রশাসক দিয়ে প্রশাসন চালিয়েছে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত।
তৃণমূলকে তিনি (Suvendu Adhikari) আরও অক্রমণ করেন। প্রশ্ন তোলেন, কেন দু'ঘণ্টার বৃষ্টিতে জল জমে যায়? কেন বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষকে মরতে হয়? কলকাতা কেন টেমস হয়ে যায়? ২০১১ সালের বিদ্যুতের দাম কেন ৬ গুণ, ৮ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্স কেন এত বাড়িয়েছেন? বস্তিবাসীদের সঙ্গে বিল আনা সত্ত্বেও কেন মলিকানা দেওয়া হয়নি?
ইস্তাহারকে কটাক্ষ
শাসকদল তৃণমূলের ইস্তাহার নিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, কাগজে বের করে ছবি তোলা, ওই কাগজটা আবার ওয়েস্ট বক্সে ফেলে দেওয়া ছাড়া তৃণমূলের ইস্তাহারের আর কোনও গুরুত্ব আছে বলে আমি মনে করি না। আমার কাছে খবর আছে কাউকে কাউকে বিজ্ঞাপন দেন।
তিনি (Suvendu Adhikari জানান, হুগলি গ্রামীণের কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম। তিনি বাইরে থাকায় সে কাজ হয়নি।
তিনি (Suvendu Adhikari আরও জানান, কলকাতা পুরভোট (KMC Elections) নিয়ে আবেদন, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোটপ্রচার, ভোট এবং গণনা এবং গণনা পরবর্তী যে বিষয়। প্রয়োজন হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব।
তাঁর দাবি, পরিস্থিতি আলাদা করে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করে নির্বাচন অবাধ, গণতান্ত্রিক ভাবে করা যাবে না। একসঙ্গে গণনা নিয়ে তিনি আমাদের স্পষ্ট কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রচারের সময় আবেদন করলে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নিরাপত্তা পায় কিনা দেখব। আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটব। প্রয়োজন হলে আবার আসব।
তাঁর অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ভাবনীপুরের বাইইলেকশনে ভাবনী ভবনে কলকাতা পুলিশ বোর্ডের অফিস থেকে ছাপ্পা ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোলিং এজেন্টের ক্ষেত্রে লোকসভা লোকসভাকে ইউনিট করে, বিধানসভায় বিধানসভাকে ইউনিট করে।
তিনি জানান, ত্রিপুরার আগরতলা সিপিএম-তৃণমূল একযোগে কর্পোরেশন ভোটে এ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে মামলা ফাইল করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত সেটা মঞ্জুর করে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই আগরতলা পুরভোট সম্পন্ন হয়। কলকাতা পুরভোট (KMC Elections)-এও তেমন চাই।