অবশেষে শ্বেতা খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পর্ন-কাণ্ডে তাঁর ছেলে আরিয়ান আগেই ধরা পড়েছিলেন। শ্বেতার খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। আরিয়ানকে জেরা করেই মিলল শ্বেতার ঠিকানা। আলিপুর থেকে ধরা পড়লেন শ্বেতা। সকালে গল্ফগ্রিনে পাকড়াও করা হয়েছিল আরিয়ানকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডোমজুড় থানায়।
বুধবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিনে ধরা পড়ে আরিয়ান খান। তাঁর বোন জোয়াকে পাকড়াও করা হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে। সন্ধ্যায় হাওড়া সিটি পুলিশ গ্রেফতার করে শ্বেতাকে। দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের গোপালনগর মোড়ের কাছ থেকে পাকড়াও করা হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রের খবর,আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মা শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসির হদিশ পায় পুলিশ। ট্র্যাক করা হয় আরিয়ানের ফোন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন পানিহাটি-কাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীর মায়ের। মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি। কীভাবে তাঁর মেয়ের উপর নির্যাতন চলেছে, তা সবিস্তারে বলা হয়েছে চিঠিতে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য অনুরোধ করেছেন নির্যাতিতার মা।
বলে রাখি, পানিহাটির এক যুবতীকে হাওড়ার বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে শ্বেতা খান ও তাঁর পুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিকাকে কুলু, মানালিতেও নিয়ে গিয়েছিলেন শ্বেতা। পর্নোগ্রাফি শ্যুট করতে রাজি না হওয়ায় পানিহাটির ওই যুবতীর উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। সম্মত না হওয়ায় পানিহাটির যুবতীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শ্বেতার বিরুদ্ধে।