Rabindra Sarobar Drowning: রবীন্দ্র সরোবরে তলিয়ে গেল বালিগঞ্জের কিশোর, জলজ গাছে পা আটকে মৃত্যু?

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সকালবেলা লেকে সাঁতার কাটতে নামে ওই কিশোর। নামার খুব অল্প সময় পরেই তার আর খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে খুঁজতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে লেক পরিষ্কার করা হয় না। নিচে থাকা আগাছা ও জলজ গুল্মে সরোবর ভরে উঠেছে। ফলে জলস্তরের নিচে কী আছে, তা পরিষ্কার বোঝা যায় না।

নিয়মিত যাঁরা সাঁতার কাটেন, তাঁরা নিজেরাই সাবধানতা অবলম্বন করেন। কিন্তু যাঁরা নতুন বা অনভিজ্ঞ, তাঁদের কাছে তা অজানা। সেই কারণেই বিপদের সম্ভাবনা থাকে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা এদিন প্রাতঃভ্রমণে এসেছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, 'প্রতি দিনই আমরা এখানে আসি। ছেলেটি ওই বটগাছের পাশেই জলে নামে। ওখানে বেশ আগাছা ভরে রয়েছে। যারা নিয়মিত আসেন, তারা জানেন কোন দিকটা বিপজ্জনক।'

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুরসভা কিংবা অন্য কোনও প্রশাসনিক সংস্থা লেকের আগাছা সাফাইয়ের দিকে নজর দেয় না। মাঝে মাঝে কিছুটা পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর কিছু অংশে পরিচর্যার ঘাটতি থেকে যায়।

অনেকেই অবিলম্বে লেকের তলায় থাকা আগাছা ও গাছগাছালি সরিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। 

পরিবেশবিদরা বলছেন, জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্রের জন্য জলজ গাছ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাঁতার কাটা হয়, এমন স্থানে জলজ গাছ কেটে-ছেঁটে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। বিশেষত নতুন যাঁরা জলাশয়ে নামছেন, তাঁদের সতর্ক করার জন্য উপযুক্ত বোর্ড বসানো উচিত বলেও মত অনেকের।