Advertisement

BSFকে বাড়তি ক্ষমতা কেন্দ্রের! সমর্থন শুভেন্দুর, সরব কুণাল

পশ্চিমবঙ্গ সহ তিন রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এতোদিন তাঁরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকেএই ৩ রাজ্যের ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ করতে পারত। এবার সেই পরিধি বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে।

কুণাল ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 14 Oct 2021,
  • अपडेटेड 2:41 PM IST
  • BSFকে বাড়তি ক্ষমতা কেন্দ্রের
  • সমর্থন শুভেন্দুর, সরব কুণাল
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

পশ্চিমবঙ্গ সহ তিন রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এতোদিন তাঁরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকেএই ৩ রাজ্যের ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ করতে পারত। এবার সেই পরিধি বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফ তল্লাশি, গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। বিষয়টি সামনে আসতেই বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

 

এদিন কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যেভাবে বিএসএফের কর্মক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিমির বদলে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করল, তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো। তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। যথাযথভাবে বক্তব্য জানানো হবে।" পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি বলেন,"বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন এবং সরাসরি ফেডারেল কাঠামোর ওপর আক্রমণ। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করছি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে।" অপরদিকে ট্যুইট করে বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

এতোদিন বিএসএফের ক্ষমতা গুজরাতের ক্ষেত্রে ৮০ কিলোমিটার, রাজস্থানে ৫০ কিলোমিটার, পঞ্জাব, আসাম এবং বাংলায় ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। আইন সংশোধনে সেই ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। রাজ্যে মন্ত্রী ফরহাদ হাকিম জানান, মোদী সরকার ফেডারেল কাঠামো ভেঙে দিচ্ছে। ১৫ কিলোমিটার ছিল অনেক। কিন্তু মোদী সরকার সবকিছু বাড়িয়ে তা দখল করতে চায়। প্রসঙ্গত, বাংলার মালদার কালিয়াচক সীমান্ত দিয়ে জাল নোট পাচারের অভিযোগ মাঝেমধ্যে ওঠে। সেই সঙ্গে গরু পাচার, ইলিশ পাচার সহ একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। এর পাশাপাশি আরেকটি বড় ইস্যু অনুপ্রবেশ। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে চরম বিরোধিতা করছে পঞ্জাবের কংগ্রেস ও পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement