Advertisement

Kalyan Banerjee : চিত্‍কার-আঙুল উঁচিয়ে হুমকি, কল্যাণের 'অভব্যতা' VIDEO VIRAL, মহুয়ার প্রসঙ্গ টেনে নিশানা BJP-র

সাংবাদিকদের উপর চিৎকার তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই ভিডিও ট্যুইট করলেন বিজেপির অমিত মালব্য। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

Kalyan Banerjee
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Mar 2024,
  • अपडेटेड 2:10 PM IST
  • সাংবাদিকদের উপর চিৎকার তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
  • সেই ভিডিও ট্যুইট করলেন বিজেপির অমিত মালব্য

সাংবাদিকদের উপর চিৎকার তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই ভিডিও ট্যুইট করলেন বিজেপির অমিত মালব্য। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। চিৎকারের পাশাপাশি আঙুল উঁচিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দিতেও দেখা যাচ্ছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। একজন বিদায়ী সাংসদ কীভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে পারেন, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। 

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন মহিলা সাংবাদিক কল্যাণকে বলেন, 'আমি তো জিজ্ঞাসা করতাম যে লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নই করতাম।' একথা শুনেই মেজাজ হারান কল্যাণ। তিনি তাঁর আশপাশে থাকা লোকজনকে বলেন, 'এই তোমরা তাহলে বলে দাও আমি মিটিং করব না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরই দেব।' তারপরই কল্যাণ আঙুল উঁচিয়ে সাংবাদিককে বলেন, 'আমি এতক্ষণ বসেছিলাম। তখন এলেন না।' তখন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমরা অনেকক্ষণ বসেছিলাম।' একথা শুনে আরও মেজাজ হারান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।  তিনি রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে চিৎকার করেন সাংবাদিকের উপর। বলতে থাকেন, 'সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলবেন না। আপনারা অনেকক্ষণ এসেছেন। আমি বসে আছি। আর আমি যখন মিটিং করতে যাচ্ছি তখন আপনারা ঢুকে যাচ্ছেন। আপনি কী ভাবেন আমাকে বলুন তো! কী স্ট্যান্ডার্ডের ভাবেন বলুন তো!' এভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় যখন হুমকি দিচ্ছেন তখন তাঁর সঙ্গে থাকা একজন ক্যামেরা বন্ধ করে দিতে বলেন। 

এদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আচরণ দেখে অবাক নেটিজেনরা। তিনি কেন এমন আচরণ করলেন, কেনই বা রেগে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। অনেকে বলছেন, সাংবাদিকরা নিজেদের কাজ করতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে কথা না বলতেই পারতেন। বলতে পারতেন তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না। বা তাঁর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় নেই বা তিনি আগ্রহী নন। কিন্তু এমন আচরণ কেন? কোন অধিকারে তিনি সাংবাদিকদের আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিলেন?

Advertisement

বিজেপির আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পোস্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, 'TMC সাংসদ মহুয়া মৈত্র বাংলায় সাংবাদিকদের গালাগালি করেছিলেন। এখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পালা। তিনি খুব বাজেভাবে কথা বলেন। উপ-রাষ্ট্রপতিকেও উপহাস করেছিলেন। এখন সাংবাদিকদের উপর রাগ দেখাচ্ছেন। অথচ সাংবাদিকরা তাঁদের কাজ করতে গিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন মরীচিকা। আসলে তৃণমূলের কারও প্রতি কোনও শ্রদ্ধা নেই!' 

যদিও কল্যাণের বিরুদ্ধে 'কুকথা'-র অভিযোগ এই প্রথম নয়। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপি ও বিরোধীদের বারবার কুকথা বলেছেন বলে তিনি। তা নিয়ে হইচই কম হয়নি। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। তবে তিনি তাতেও থামেননি। কয়েক মাস আগে দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের নকল করেছিলেন তিনি। যা দেখে মর্মাহত হয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি একজন সাংসদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার প্রত্যাশা করেননি বলেও প্রকাশ্যে জানান। আবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর তাঁকেও বাছাবাছা বিশেষণে আক্রমণ করেন কল্যাণ। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে তারপরও থামার নেই। আইনসভার একজন সদস্য তথা আইনজীবীর এমন ব্যবহার কেন? এই প্রশ্ন উঠছেই।   

  

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement