Advertisement

Abhishek On Sandeshkhali: পুলিশের হাত-পা হাইকোর্ট বেঁধে দিলে কীভাবে শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে: অভিষেক

আমি অনুরোধ করব, মানবাধিকারের কর্তা ও রক্ষাকর্তা, রোজ লাইমলাইটে থাকার জন্য বলছেন, একে অ্যারেস্ট করুন, তাকে অ্যারেস্ট করুন। হাইকোর্ট হাত বেঁধে দিলে পুলিশ কী করবে! বললেন অভিষেক।

Abhishek Banerjee
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 25 Feb 2024,
  • अपडेटेड 6:08 PM IST
  • গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিল ইডি।
  • তদন্তকারীদের উপর চড়াও হয় শাহজাহানের দলবল।

সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানকে কেন ধরা পড়েনি? রবিবার মহেশতলায় জলপ্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ব্যাখ্যা,'যারা বলছে, শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি চায়! হাইকোর্টে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন না, কেন স্থগিতাদেশ দিয়েছে? যাতে বিজেপি ক্ষীর খেতে পারে! পুলিশকে ১ মাস, ২ মাস সময় দিয়েছেন!'

এ দিন অভিষেক বলেন,'মানবাধিকারের কর্তা ও রক্ষাকর্তারা রোজ আলোয় থাকার জন্য বলছেন, একে অ্যারেস্ট করুন, তাকে অ্যারেস্ট করুন। হাইকোর্ট হাত বেঁধে দিলে পুলিশ কী করবে! ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল, ওই ঘটনায় সিট গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডি আপিল করে রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চায়। সেই আর্জি মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ৬ মার্চ শুনানি। হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের হাত-পা বেঁধে দিলে পুলিশ কীভাবে গ্রেফতার করবে? এফআইআরের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে ১৫ দিন-একমাস সময় দিতে হবে পুলিশকে।'

গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিল ইডি। তদন্তকারীদের উপর চড়াও হয় শাহজাহানের দলবল। আহত হন ইডি আধিকারিকরা। তার পর থেকে বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। তাঁকে আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ অভিযোগ করেছে, রাতবিরেতে মহিলাদের পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতন চালাত শেখ শাহজাহানের দলবল। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে। কিন্তু শাহজাহান এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে! সন্দেশখালির বাসিন্দারা চাইছেন, অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক শেখ শাহজাহানকে। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। হাইকোর্টের রায় পুলিশি তদন্তে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে এ দিন দাবি করেন অভিষেক। 

অভিষেক যোগ করেন,'যারা বলছে শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি চায়, হাইকোর্টে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন না, কেন স্থগিতাদেশ? যাতে বিজেপি ক্ষীর খেতে পারে? পুলিশকে ১ মাস, ২ মাস সময় দিয়েছেন! শেখ শাহজাহানকে আড়াল করছে তৃণমূল। পার্থ-জ্যোতিপ্রিয়কে রেয়াত করেনি তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে চোর বলেছিল বিজেপি। তারাই এখন বিজেপির নেতা। এটাই মোদীজির গ্যারান্টি। যত চোরজোচ্চোর, ধাপ্পাবাজ বিজেপিতে এলেই সব খুন মাফ!' তিনি মনে করিয়ে দেন,'সন্দেশখালিতে নির্যাতিতা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান দিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে শিবু হাজরা। হাইকোর্ট হাত-পা বেঁধে না দিলে পুলিশ গ্রেফতার করত শেখ শাহজাহানকে। সবাই জানে বিচার হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন, অন্য কেউ করবে না! কাশ্মীর থেকে সুদীপ্ত সেনকে ধরে এনেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। দিল্লিতে বসে বাংলায় আগুন জ্বালানোর পর পরিস্থিতি তৈরি করছে। কীভাবে বাংলাকে অশান্ত করা যায়! যাতে সন্দেশখালি সংবাদের শিরোনামে থাকে।'

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement