Advertisement

'মুখ্যমন্ত্রীকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, এট অপমানজনক,' সরব চন্দ্রিমা

কলাইকুণ্ডায় বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে তিনি কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্ন করেন। চন্দ্রিমা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। যা মোটেও কাম্য নয়। এটা অপমানজনক।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ফাইল ছবিচন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি
জ্যোতির্ময় দত্ত
  • কলকাতা,
  • 31 May 2021,
  • अपडेटेड 5:48 PM IST
  • কেন্দ্রকে নিশানা চন্দ্রিমার
  • বৈঠক ইস্যুতে আক্রমণ
  • মুখ্যমন্ত্রীকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, অভিযোগ চন্দ্রিমার

কলাইকুণ্ডায় বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে তিনি কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্ন করেন। চন্দ্রিমা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। যা মোটেও কাম্য নয়। এটা অপমানজনক।

কী বললেন চন্দ্রিমা

চন্দ্রিমা বলেন, দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।  দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখ্যসচিবকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। সেখানে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্টে ২০ হাজার কোটি টাকা সম্পর্কে অভিহিত করেছেন। এটা কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নয়। বিজেপির অনেক নেতাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যেটা হওয়ার ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এসেছেন। বাংলার বিরুদ্ধে এই ধরনের আচরণ বিধিসম্মত কিনা সেটা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে বসিয়ে রাখতে হবে, এটা অপমানজনক। প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বসে থাকবেন, এটা কাম্য নয়। আইন নিয়ে খেলা করবে না। 

আরও পড়ুন

সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে দিল্লিতে রিপোর্ট করার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্ত তিনি দিল্লি যাননি। সোমবার তাঁকে নবান্নে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এদিকে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নতুন উপদেষ্টা পদে যোগ দেবেন।  রাজ্যের নয়া মুখ্যসচিব হচ্ছেন হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন বিপি গোপালিকা।

ক্ষোভ মমতার

এদিন মমতা বলেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল, কারণ কী, লেখা নেই। ১০ মে চিঠি দিয়েছিলাম তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য। ৩ মাস তিনি যাতে ওই পদে থাকেন, তার আবেদন করেছিলাম। যাতে করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে পারেন। তিনি আরও দাবি করেন, কেন্দ্র জবাব দিয়েছিল, প্রস্তাব গৃহীত হল। তিনি চলতি বছরের ১ জুন থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ওই পদে থাকতে পারবেন। আমি ২৪ তারিখ ওই চিঠি পাই। মমতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুন্ডায় মিটিং হল। তার আগে আমকে একবারও বলেননি কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, তা দেখি। তিনি বাংলায় আসেননি। তাঁর বিমান এখানে দাঁড়িয়েছিল মাত্র। ওডিশা পাশে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মাত্র।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement