নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের নির্দেশ, ওই মামলার শুনানির জন্য অন্য বিচারপতিকে নিয়োগ করতে হবে। এই রায় প্রকাশের পর কি উৎফুল্ল শাসক শিবির? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক রায়ে পক্ষপাতিত্ব দেখতে পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবার রায় প্রকাশের পরই বিরোধীদের একবন্ধনীতে ফেলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সরাসরি নাম করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই কুণাল শুক্রবার বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম না করে খোঁচা দিয়েছেন। বস্তুত এক ঢিলে বিজেপি ও সিপিএমকে বিঁধেছেন। তিনি টুইট করেছেন,'সারা দেশে আজ প্রথম কেউ বুঝলেন 'সব কা বিকাশ' কাকে বলে। বিকাশ ছুঁলে কী হয়। কমরেড, সমবেদনা রইল।'
'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীকে 'বিকাশপুরুষ'ও বলা হয়। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুরু থেকে জড়িত সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর অতীত পরিচিতি। যে টিভি সাক্ষাৎকার নিয়ে বিতর্ক সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েওছিলেন যে বিকাশরঞ্জনের কাছ থেকে আইন শিখেছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিবিদদের মতো আচরণ করছেন থেকে পক্ষপাতিত্বের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন কুণাল। তাঁর বিকাশ-যোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুক্রবার জোড়া বিকাশকেই বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানোর নির্দেশ, কী বললেন অভিষেক?
তবে বিরোধী শিবির মনে করছে, এতে তৃণমূলের লাভ হবে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া,'দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের লড়াইয়কে সারাজীবন মনে রাখবেন বাংলার মানুষ। অনেকেই ভাবছেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। তা হবে না। জেলে যেতেই হবে।'