Advertisement

Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজন-দিলীপ-শুভেন্দুকে জড়ালেন পার্থ, যা বললেন

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দু, সুজন ও দিলীপকে জড়ালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে ঢোকার পথে তাঁর দাবি, সুজন-দিলীপ তদ্বির করেছিলেন।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 Mar 2023,
  • अपडेटेड 1:08 PM IST
  • দিলীপ-সুজন তদ্বির করেছিলেন, দাবি পার্থর।
  • তদন্তের দাবি কুণালের।

এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীদের জড়ালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, তাপস মণ্ডল-সহ অন্য অভিযুক্তদের। পার্থর অভিযোগ, যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরাই চাকরি দেওয়ার জন্য তদ্বির করেছিলেন। তাঁর দাবি, সাড়া দেননি তিনি। জানিয়েছিলেন, বেআইনি কাজ করতে পারবেন না। এদিকে, আদালতে ঢোকার মুখ বহিষ্কৃত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে 'ম্যাজিশিয়ান' বলে দাবি করেছেন তাপস।   

বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালত চত্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ওঠে 'চোর, চোর' স্লোগান। সেই সংবাদ মাধ্যমকে পার্থ বলেন,'যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবুরা বড়ো বড়ো কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন! ২০০৯-১০-র সিএজি রিপোর্ট দেখুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন। আমি তাঁদের বলেছি করতে পারব না, আমি নিয়োগকর্তা নই। এ ব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা কোনও বেআইনি কাজ করতে পারব না।' রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নামও এসেছে পার্থের মুখে। তাঁর কথায়,'শুভেন্দু অধিকারীর ১১-১২ সালটা দেখুন না।'

পার্থর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথায়,'জেলে গিয়ে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। যে সময়ের কথা বলেছেন তখন আমি রাজনীতিতে আসিনি। চক্রান্ত করে লাভ হবে না। প্রমাণ হলে জেল খাটব। উনি তো বান্ধবী সমেত জেলে গিয়েছেন। টাকার পাহাড় সবাই দেখেছেন।'

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়,'মাথা গোলমাল হলে অনেক কিছু হয়। ওঁর সার্কিটটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ২০০৯-১০ সালের কথা বলছেন সেই সময় পার্থ কোথায় ছিলেন? তখন তো উনি সরকারের কেউ না বলেই আমার ধারণা। উনি তো বিরোধী দলে। মাথাটা খারাপ হয়ে গিয়েছে।'

পার্থর এহেন দাবির আগেই টুইটে দিলীপ, সুজনদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি টুইট করেছিলেন,'শিক্ষায় নিয়োগ-বিতর্ক। দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।'  

Advertisement

সংবাদ মাধ্যমে কুণাল বলেন,'বাম জমানায় হোল টাইমার কমরেড মানেই বাড়িতে শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি দেওয়া হত। এটা সবাই জানে। তৃণমূল গোড়া থেকে বলে এসেছে, কোনও অন্যায়ের সাফাই দেবে না। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন তা তদন্তের আওতায় আসা জরুরি। প্রত্যেককে হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি জেরা করা দরকার। এগুলি তদন্তের বাইরে থাকা উচিত নয়।'

আরও পড়ুন- কংগ্রেস বাদ দিয়ে BJP-বিরোধী জোট? নজরে নবীন-মমতা মিটিং

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement