বাড়ি, কারখানা ও অফিসে তল্লাশির পর এবার জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে (TMC MLA Jakir Hossain) তলব করল আয়কর দফতর (Income Tax Department)। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই তাঁকে কলকাতার আয়কর অফিসে তলব করা হয়েছে। গত ৫ বছরে জাকিরের আয়-ব্যায় সংক্রান্ত নথি ও ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার জাকিরের বাড়ি, অফিস ও কারখানা থেকে ১১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে আয়কর বিভাগ। তাঁর বাড়িতেই বুধবার সাত সকালে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বাড়ি-অফিস-গুদামে তল্লাশি চালানো হয়। তাতেই উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি টাকা। এ নিয়ে আবার শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।
আয়কর বিভাগের তলবের বিষয়ে জাকির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন বুধবার আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন যে নগদ অর্থের হিসেব তিনি দিতে পারবেন। সেই কারণেই আয়কর বিভাগ ডেকে পাঠিয়েছে। যদিও তিনি নিজে যাবেন না আইনজীবীর মাধ্যমে নথি পাঠাবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। আজতক বাংলার তরফে তাঁকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন জাকির হোসেন। তৃণমূলের টিকিটে জঙ্গিপুর থেকে লড়াই করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর রাজ্য মন্ত্রিসভায় তাঁকে জায়গা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের নির্বাচনেও তিনি একই আসনে জয়ী হন। যদিও এবার আর তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। জাকির হোসেনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতি থানার ঔরঙ্গয়াবাদে। যদিও জঙ্গিপুরে, বহরমপুর, কলকাতা, দিল্লিতে তাঁর বাড়ি ও অফিস রয়েছে বলে জানা যায়। জঙ্গিপুরে তাঁর যে বাড়ি রয়েছে, সেই বাড়ির নাম জনতার দরবার। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা জাকির জীবনযুদ্ধে সত্যিই নায়ক। আর সেটা না বলার কোনও কারণ নেই। বিড়ির সাধারণ ঠিকাদার থেকে মুন্সিয়ানা দেখিয়েই তিনি আজ শিল্পপতির তকমা পেয়েছেন।