Advertisement

Madan Mitra Apology Letter: বিস্ফোরক অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টি মদনের, ক্ষমা চেয়ে চিঠি দলকে

Madan Mitra Apology Letter: কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র দুপুরে নিজের করা মন্তব্যের জন্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেগতিক বুঝে আগেভাগে দলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিলেন।

বিস্ফোরক অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টি মদনের, ক্ষমা চেয়ে চিঠি দলকেবিস্ফোরক অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টি মদনের, ক্ষমা চেয়ে চিঠি দলকে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Feb 2025,
  • अपडेटेड 12:06 AM IST

Madan Mitra Apology Letter: কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভোলবদল। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র দুপুরে নিজের করা মন্তব্যের জন্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেগতিক বুঝে আগেভাগে দলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিলেন। দুপুরে I-PAC ও তৃণমূলেরই একাংশকে নিশানা করে দাবি করেছিলেন মন্ত্রিপদ পেতে তৃণমূলে কোটি কোটি টাকার ঘুষ নেওয়া চলছে। অভিষেক ইস্যুতেও তিনি দাবি করেছিলেন, 'রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।' কিন্তু বক্তব্যে অটল থাকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। রাতের মধ্যেই তিনি তৃণমূল দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে চিঠি লিখে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে এই ধরণের মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন।

মদন মিত্রের ক্ষমা চেয়ে পাঠানো চিঠি

এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের শীর্ষ মহলে ক্ষমতার রাশ টানতে অভিষেক প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "পার্টির লোকেরা বলছেন, বাইরের লোকেরা বলছেন... তুমি কি অভিষেকের? তুমি কি মমতার?"  অভিষেক বয়সে অনেক ছোট। দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছে, মাঝে মাঝে ওর ট্যুইট দেখি। অসুস্থ ছিল, বিদেশেই ছিল অনেকদিন। রোডে নেমে কতটা কি করতে পারবে! মাঝেমধ্যে ফোন করে বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে বলছি, এটা করতে হবে। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।'' তাঁর আরও দাবি, ২০২১ এর আগেই এটি শুরু হয়েছিল। টাকা নিয়েও নমিনেশন দেওয়া হয়নি। লোককে কাঁদতে দেখেছি। 

আরও পড়ুন

দলের মধ্যে টাকা দিয়ে পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রশ্নে মদন আরও বলেন, "দলের মধ্যে ব্যাপক টাকার লেনদেন হচ্ছে। আমি মদন মিত্র একজন এমএলএ ছিলাম। আমার কোনও ক্ষমতাই ছিল না। রাতারাতি আমি এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছি। তা এখন আমার পদ চাই। তা আমি বললাম ভাই আমায় একটা মন্ত্রী করে দে। না ভাই, মন্ত্রী হতে গেলে, ভাল মন্ত্রী হতে গেলে ১০ কোটি লাগবে, আমি ১০ কোটি দিয়ে দিলাম। মন্ত্রী হল কী হল না পরের কথা। যদি হয়ে গেলাম তাহলে ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি বানালাম, আর যদি না হলাম ১০ কোটি চলে গেল। এফআইআর করা যায় না। কারণ, এর কোনও ডকুমেন্টস নেই।''

Advertisement

মদনের অভিযোগ, সাংগঠনিক পদ পেতেও টাকার খেলা চলছে। এর মধ্যে নীচু তলার পদ, ব্লকের পদ, সমিতির পদ, পঞ্চায়েতের পদ থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের পদ, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইত্যাদি হওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকায় উঠে যাচ্ছে। 

তাঁর নিশানায় ছিল অভিষেক ঘনিষ্ঠ আই-প্যাকও। প্রার্থী করে দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা নেওয়া হয়েছে? এ প্রসঙ্গে আইপ্যাককে নিশানা করে কামারহাটির বিধায়কের দাবি, "সবটাই আইপ্যাক করেছে। আইপ্যাকই পরিস্থিতিটা তৈরি করেছে। ওরা কিছু লোকের নামে রেকমেন্ডেশন করে চলে গিয়েছে। ভোটে লড়াই করেছে আমাদের ছেলেরা। আইপ্যাকের ছেলে কোথায়? আইপ্যাক মানে প্য়াক আপ।" 

Read more!
Advertisement
Advertisement