তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে মারার চেষ্টার ঘটনার পর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে বাকযুদ্ধ চরমে। হুময়ুন কবির, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম-সহ অনেকেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কবসার ঘটনায় ফিরহাদ হাকিমের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সৌগত রায়। পাল্টা তাঁকেও ভীষ্ম বলে কটাক্ষ করেছেন মদন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। তার অধীনেই পুলিশ। সেই পুলিশ দফতরের দায়িত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসার দাবি তুলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যার জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সব দফতর এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। “যারা এত কথা বলছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নির্বাচনে নামুক। তারপর জিতে দেখাক। বুঝে যাব।'
হুমায়ুনের মন্তব্য নিয়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র চড়া সুর তোলেন। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন,'আগে হুমায়ুনের মুখে লাগাম পরানো উচিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাওয়ারফুল ইঞ্জিন। তাঁকে যেখানে কাজে লাগানো হবে, সেখানেই গতি বেড়ে যাবে। কিন্তু কখন কোথায় তাঁকে কাজে লাগানো হবে, সেটা মমতা ঠিক করবেন।'
কসবার ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সৌগত রায়ও। তাঁকেও আক্রমণ করেছেন মদন। সৌগতকে ভীষ্ম বলে কটাক্ষ করেছেন। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ',সৌগতদা দ্রোণাচার্য, পিতামহ ভীষ্মের লেভেলে চলে গেছেন। তাঁকে তো আমাদের মেনে চলতেই হবে। সৌগতদার সিকিউরিটির কাজ সৌগতদাকে সিকিউরিটি দেওয়া। তাঁকে দিয়ে কী কী কাজ করানো হয়। চুন, পান, বাজার, খাওয়া, রান্না। তাহলে সিকিউরিটি দেবে কখন? তেমনি কলকাতা পুলিশ ছাত্রদের দাবি, চাকরি চুরি, মেধা, ট্যালেন্ট, কে ঘর বানিয়েছে, ট্যাব, কার বিয়ে ভেঙে গেছে, কমিশন এসব সামলাচ্ছে। তাহলে কাজ করবে কখন? ২৪ ঘণ্টায় সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ দেখিয়ে দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ আজ যা বলে, ৭৬ দিন বাদে সিবিআই তাই বলে।'
জবাবে সৌগত এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'দ্রোণাচার্য তো পাণ্ডবদের শিক্ষাগুরু ছিলেন। খারাপ কিছু তো বলেননি। আমার এখানে নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওদিন বাজার করেননি কোনওদিন। আমি নিরাপত্তা চাইনি।'