বিদেশে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে উত্তাল সংসদ। ভোটে নরেন্দ্র মোদী যাতে সুবিধা পান সেজন্য রাহুলকে নেতা করতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের বৈঠকের পর এহেন দাবি করেছিলেন লোকসভায় ঘাসফুল শিবিরের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূল নেত্রীর গলাতেও একই সুর। রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি বলেন, 'রাহুলকে নেতা বানাতে চাইছে বিজেপি। যাতে মোদীর নেতৃত্বের উপর কোনও প্রশ্ন না ওঠে। রাহুল গান্ধীই নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে বড় টিআরপি। নইলে বিদেশে একটা মন্তব্য নিয়ে সংসদ অচল রাখা হত না!'
এ দিন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'সংসদ চলুক এটা চায় না বিজেপি। কারণ ওরা রাহুল গান্ধীকে নেতা বানাতে চাইছে। রাহুল গান্ধী যত দিন থাকবেন, মোদীকে কেউ খারাপ ভাববে না।' তিনি যোগ করেন,'রাহুল গান্ধীই নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে বড় টিআরপি। নইলে এমনটা কখনও হয়নি যে কেউ বিদেশে কোনও মন্তব্য করেছেন, আর সেটা নিয়ে এখানে সংসদ অচল করে দেওয়া হচ্ছে!'
আদানি-এলআইসি নিয়ে সংসদে আলোচনা রুখতেই বিজেপি এই কৌশল নিয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। বলেন,'আমরা চাই সংসদ সচল থাকুক। এলআইসি নিয়ে আলোচনা হোক। আদানি নিয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে না? এর মধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিল পেশ হয়েছে। আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হতে দেব না।'
সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এ দিন তিনি বলেন,'সাগরদিঘিতে অনৈতিক লড়াই হয়েছে। আরএসএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "রাহুল গান্ধী বিদেশে একটি মন্তব্য করেছেন, আর সেই মন্তব্য নিয়ে তিনি ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত, সংসদ চালাতে দিচ্ছে না বিজেপি। এই জন্য গতকাল আমরা কালো কাপড় মুখে বেঁধে স্পিকারের সামনে গিয়ে বলি, আমাদের বলতে দিন। আজ পরিস্থিতি এমন যে, বিজেপি রাহুল গান্ধীর ইস্যুতে দেখানোর চেষ্টা করছে যে, তিনিই বিরোধী। আমি আজ মিটিংয়ে বলেছি, বিজেপি চাইছে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) বিরোধীদের মুখ বানাতে, তাহলে আগামী দিনে মোদীজির ভোটে লড়তে সুবিধা হবে"।