রাজ্যের পর এবার জেলাতেও রদবদল করল বিজেপি। শনিবার নতুন জেলা সভাপতিদের তালিকা প্রকাশিত হল। অধিকাংশই নতুন ও তরুণ মুখ। পুরভোটে ধাক্কা খেয়ে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার সভাপতিও বদল করল গেরুয়া শিবির। সেই সঙ্গে বিজেপির সংগঠন-কাঠামোয় আগে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলা ছিল। সেটাই বাড়িয়ে ৪২ করা হয়েছে। নতুন তিন সাংগঠনিক জেলা – বোলপুর, মালদহ দক্ষিণ এবং জয়নগর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র। ফলে আসন্ন পুরভোট তো বটেই ২০২৪ সালের লোকসভাকে নজরে রেখেই এই রদবদল।
দিলীপের পর বাংলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির সাংগঠনিক রীতি অনুযায়ী, নতুন রাজ্য সভাপতি নিজের কমিটি বেছে নেন। তবে তা ঝুলেই ছিল। কলকাতা পুরভোটের ফল ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার নতুন রাজ্য কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করে পদ্মশিবির। সভাপতির পর বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদকের। সেখানে লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোর্তিময় মাহাতো ছাড়া বাকি সকলেই নতুন। এবার শনিবার অধিকাংশ জেলা সভাপতিও বদল করল বিজেপি নেতৃত্ব। হাওড়া-সহ হাতে গোনা কয়েকটি বাদ দিলে ৪২ সাংগঠনিক জেলাতেই নতুন সভাপতি নিয়োগ করেছে দল।
কলকাতা পুরভোটে বিপর্যয় হয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানও ধরে রাখতে পারেনি। বিরোধী পরিসরে উঠে এসেছে বামেরা। হারের পর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বীকার করেছিলেন, কলকাতায় সংগঠন তেমন পোক্ত নয়। সূত্রের খবর, পুরভোটে বিপর্যয়ের জেরে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার সভাপতিদের উপর কোপ পড়েছে। উত্তর কলকাতার দায়িত্ব এবার দেওয়া হয়েছে কল্যাণ চৌবেকে। সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী সামলাবেন দক্ষিণ কলকাতা। দুই বিধায়ককে জেলা সভাপতির পদে আনা হয়েছে। বিধায়ক আনন্দময় বর্মনকে শিলিগুড়ির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ নদিয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা, গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মা-বাবা
জেলাগুলির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও বদল করা হয়েছে। সেখানেও নতুন মুখের ছড়াছড়ি।
শিলিগুড়ি ও মালদহ বিভাগ দেখার ভার পেয়েছেন সঞ্জয় সিং ও শ্যামচাঁদ ঘোষ। নবদ্বীপ ও উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্জুন সিং ও জ্যোতির্ময় মাহাতোকে। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে অগ্নিমিত্রা পল এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। দীপক বর্মন ও মনোজ পান্ডেকে দেওয়া হয়েছে হুগলি ও মেদিনীপুরের ভার। বর্ধমান ও পুরুলিয়া বিভাগ সামলাবেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ও নির্মল কর্মকার।
কোনও কমিটিতেই ঠাঁই পেলেন না রাজ্য বিজেপির অত্যন্ত পরিচিত মুখ সায়ন্তন বসু। সদ্য নতুন রদবদলে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের পদ খুঁইয়েছেন। ফলে সায়ন্তনের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপর প্রশ্ন উঠে গেল।
আরও পড়ুন- রাজ্যে রেশন কার্ডেও নমিনি, জেনে নিন কীভাবে করবেন?