এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে DA দিতে হবে। নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT)। আবার DA মেটানোর জন্য হাইকোর্ট ৩ মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সুতরাং রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে আর মাত্র ১০ দিন। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
এখন প্রশ্ন, রাজ্য সরকার কী করবে? তাঁরা কি অবস্থান স্পষ্ট করবে? DA কি মেটাবে সরকারি কর্মীদের? প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA দেওয়ার দাবি তুলেছে স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। আর এই বকেয়া মেটানোর জন্য রাজ্য সরকারের এখন প্রয়োজন প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা।
জানা যাচ্ছে, বকেয়া মেটানো ইস্যুতে বেশ চিন্তায় রাজ্য সরকার। ফুরোচ্ছে কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমাও। ফলে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
আরও পড়ুন : বাড়ছে ভুঁড়ি-জমেছে মেদ? ঘরোয়া উপায়ে লিভার রাখুন পরিষ্কার
প্রসঙ্গত, মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ নবান্নকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে তারা সাহায্য়ের কথা বললেও একথা স্পষ্ট যে, ১৯ অগাস্টের মধ্যে কোর্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই হবে রাজ্যকে।
যদিও বিশেষদজ্ঞদের একাংশের মতে, এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের কাছে দুটো পথ খোলা রয়েছে। এক. তারা মামলাকারীদের সঙ্গে বসে সমঝোতার পথে হাঁটতে পারে। তারা বলতে পারে, দুই কিস্তিতে তারা DA মেটাবে। সেই শর্ত মামলাকারীরা মেনে নেবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। আর একটা পথ হল, রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। যদিও আগে থেকেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছে মামলাকারীরা।