Advertisement

শহরজুড়ে WhatsApp Hacking-র একাধিক অভিযোগ! উদ্বেগে লালবাজার

Whatsapp Hacking in Kolkata: পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিনে দক্ষিণ এবং উত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫টি আলাদা অভিযোগ অভিযোগ জমা পড়েছে, যেখানে অভিযোগকারীরা নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন পুলিশকে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যক্তির অভিযোগ, তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেশ কয়েকজনকে এমন কিছু মেসেজ পাঠানো হয়েছে যা আদতে তিনি পাঠাননি।

শহরজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিংয়ের একাধিক অভিযোগ
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 17 Aug 2021,
  • अपडेटेड 11:02 PM IST
  • দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যক্তির অভিযোগ, তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেশ কয়েকজনকে এমন কিছু মেসেজ পাঠানো হয়েছে যা আদতে তিনি পাঠাননি
  • একই অভিযোগ উত্তর কলকাতার এক তরুনীরও
  • তারা সকলেই অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ক্রাইম থানায়

WhatsApp Hacking in Kolkata: গোপনীয়তা রক্ষার (Privacy Policy) প্রশ্নে অন্যান্য মেসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশনের (Messenger Application) তুলনায় হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলেই পরিচিত নেটাগরিকদের কাছে। তবে এবার উদ্বেগ বাড়িয়ে সেই হোয়াটসঅ্যাপই হ্যাক (WhatsApp Hacking) করার একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কাছে। সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Lalbazar Cyber Crime Police)। এই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার কলকাতা পুলিশের ক্রাইম মিটিংয়ে এই নিয়ে সরব হয়েছেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল (Police Commissioner) সৌমেন মিত্র (Soumen Mitra)। নয়া এই অপরাধ প্রবণতা নিয়ে কলকাতার সব থানার ওসিদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ গোয়েন্দা প্রধান। 

পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিনে দক্ষিণ এবং উত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫টি আলাদা অভিযোগ অভিযোগ জমা পড়েছে, যেখানে অভিযোগকারীরা নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন পুলিশকে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যক্তির অভিযোগ, তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেশ কয়েকজনকে এমন কিছু মেসেজ পাঠানো হয়েছে যা আদতে তিনি পাঠাননি। একই অভিযোগ উত্তর কলকাতার এক তরুনীরও। তিনিও তাঁর হোয়াটসঅ্যাপের ইনবক্স ঘেঁটে এমন বেশ কিছু মেসেজ দেখতে পান, যা আসলে তিনি পাঠাননি বলেই দাবি। নিজেদের অজান্তেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচিত-অপরিচিতদের কাছে চলে যাচ্ছে একাধিক মেসেজ, যা দেখে আকাশ থেকে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। এরপরই তারা সকলেই অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ক্রাইম থানায়। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।

আরও পড়ুন:  'Little Boy'-এর আঘাত সামলে ৭৬ বছর পর কেমন আছে হিরোশিমা-নাগাসাকি? 

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এই অভিযোগগুলির তদন্তে নেমে হতবাক হয়ে গিয়েছেন খোদ গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরাও। কারণ এখনও পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ নিরাপদ বলেই পরিচিত। সেখানে নিজের অজান্তে একাধিক ব্যক্তির কাছে কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই নিয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিং এর অভিযোগের তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। প্রশ্ন উঠছে, এক্ষেত্রে কি আদৌ হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনো third-party অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর গোটা মোবাইলটিরই নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে গিয়েছে? এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী আধিকারিক থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞ কেউই। এক সাইবার বিশেষজ্ঞ বলেন, সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে তা নিশ্চিতভাবে যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়, কিন্তু তা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে নেমে তদন্তকারীদের অনুমান, এক্ষেত্রে সম্ভবত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সরাসরি হ্যাক না হয়েও ঘুরপথে মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে রয়েছে একাধিক সম্ভাবনা। 

আরও পড়ুন: কীভাবে চিনবেন মিঠা ও নোনা জলের ইলিশ? রইল সিক্রেট উপায়... 

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা না জেনে, না বুঝে প্রতিনিয়ত অসংখ্য থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ইন্সটল করছে, যার মধ্যে ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। অ্যাপ্লিকেশনগুলি ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারী নিজে থেকেই একাধিক অ্যাক্সিস দিয়ে দিচ্ছেন অ্যাপ ডেভলপারকে, ফলে ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের কাছে। এছাড়াও আরো একটি সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে পুলিশ সূত্রে। যা হলো, যে কোন ব্যক্তির নম্বর ব্যবহার করে অন্য কোন ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ইন্সটল করা হচ্ছে, সেই সময় ওই নম্বরের আসল ব্যাবহারকারীদের কাছে ওটিপি পৌঁছলে, কোন অসদুপায় অবলম্বন করে বা বিভিন্ন অছিলায় তাকে ফোন করে জেনে নেওয়া হচ্ছে ওটিপি। এর পরেই তাঁর নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার হচ্ছে করা হচ্ছে অন্য ফোন থেকে। এছাড়াও মেটাসপ্ল্যেট ফায়ারফক্স অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একই নেটওয়ার্কের সংযুক্ত থাকা একাধিক ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হতে পারে বলে অনুমান।

আরও পড়ুন: ভারতে নাশকতার ছক! বাংলা সহ বহু আঞ্চলিক ভাষায় প্ররোচনা IS-এর 

আরও পড়ুন: দেবীপক্ষের সূচনা? প্রথা ভেঙে এই প্রথম কলকাতার দুর্গা আরাধনায় ৪ মহিলা পুরোহিত 

তাছাড়াও, যেকোনো উপায়ে ব্যবহারকারীর ফোনে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দিয়ে ফোন হ্যাক করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রাথমিক তদন্তে নেমে এমনই একাধিক সম্ভাবনা উঠে আসছে তদন্তকারীদের আতস কাচের তলায়। যা নিয়ে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেননি লালবাজার। তবে এ ক্ষেত্রে নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ সুরক্ষিত রাখতে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে রাখতেই পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তার ফলে যেকোনো কারোর নাম্বার ব্যবহার করে অন্য কেউ হোয়াটসঅ্যাপ খুললে তা সহজেই জানতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে,তবে এখনও কোনো রকম সম্ভাবনাই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তদন্তে  দ্রুত সত্য প্রকাশে আসবে। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement