
আধুনিক লাইফস্টাইলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের আনাগোনাই সবচেয়ে বেশি। এমন বহু মানুষ আছেন, যারা নিয়মিত ভাবে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করেন। এমন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে পেটের চর্বি বৃদ্ধি পাওয়া অত্যন্ত সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর একবার পেটের চর্বি তৈরি হয়ে গেলে, তা কমানো কঠিন। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পরে ভুঁড়ি কমানো নিতান্তই কষ্টকর। এই বয়সের পরে পেটের চর্বি কমানো আগের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হতে পারে।
সম্প্রতি, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডঃ সৌরভ শেঠি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ব্যাখ্যা করেছেন কেন বেশিরভাগ মানুষের ৩০ বছর বয়সের পরে পেটের চর্বি বাড়তে শুরু করে। অনেক সময় দেখা যায় তাঁরা খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন আনেই নি, কিন্তু তাও হঠাৎ ভুড়ি বাড়তে শুরু করেছে।
ডঃ শেঠি বলছেন, যেসব খাবার আগে ক্ষতিকারক ছিল না, সেগুলোও এখন পেটের চর্বি বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এমনকি আগের মতো ঘন ঘন ব্যায়াম করলেও খুব বেশি প্রভাব পড়ে বলে মনে হয় না। তাঁর মতে, এই পরিবর্তন শরীরে হঠাৎ করে ঘটে না। বরং বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে ঘটে যাওয়া কিছু প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণেই এগুলো ঘটে।
ডঃ শেঠি জানাচ্ছেন, ৩০ বছর বয়সের পর শরীর ধীরে ধীরে প্রতি দশ বছরে ৩-৮ শতাংশ পেশি ক্ষয় শুরু হয়। যখন শরীরে পেশি থাকে, তখন বিশ্রামের সময়ও ক্যালোরি পুড়তে থাকে। তাছাড়া, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পেশির ভর কমে যাওয়ার ফলে চর্বি পোড়ানোও কমে যায়। কারণ পেশিগুলি শরীরের গ্লুকোজ ব্যবহারের প্রায় ৭০-৮০% কাজ করে। ডঃ শেঠি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, যখন পেশির ভর কমে যায়, তখন চিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য রক্তে থাকে এবং পেটের চর্বি হিসেবে জমা হতে শুরু করে।
হরমোনের পরিবর্তন
৩০ বছর বয়সের পর, শরীরে কিছু হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হতে শুরু করে। মানুষের গ্রোথ হরমোন, টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মতো হরমোনের মাত্রা হ্রাস পায়। অন্যদিকে কর্টিসল বেড়ে যায়। ডাঃ শেঠির মতে, এই পরিবর্তনগুলি পেটে চর্বি জমাতে সাহায্য করে।
তাহলে ৩০ বছরের পর পেটের মেদ কমাতে কী করা উচিত?