অতিরিক্ত গরমে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। এই কারণে শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা শুধু মাথাব্যথা বা ক্লান্তির কারণই নয়, রক্তচাপ বৃদ্ধির মতো গুরুতর স্বাস্থ্যসমস্যাও তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘস্থায়ী জলশূন্যতা রক্তচাপ বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
স্বাভাবিক রক্তচাপ কত হওয়া উচিত?
রক্তচাপ হল ধমনীর দেয়ালে রক্তপ্রবাহের চাপ। এটি দুইটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়—
সিস্টোলিক (উপরের সংখ্যা): হৃদপিণ্ড যখন রক্ত পাম্প করে
ডায়াস্টোলিক (নিচের সংখ্যা): হৃদপিণ্ড যখন বিশ্রামে থাকে
স্বাভাবিক রক্তচাপ:
সিস্টোলিক – ৯০ থেকে ১২০ mmHg
ডায়াস্টোলিক – ৬০ থেকে ৮০ mmHg
যদি রক্তচাপ ১৩০/৮০ mmHg বা তার বেশি হয়, তবে তা উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে ধরা হয়।
জলশূন্যতা ও উচ্চ রক্তচাপ
জলশূন্যতা হলে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এতে হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে বেশি চাপ নিতে হয়। শরীর এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় হরমোন নিঃসরণ করে রক্তনালীগুলি সংকুচিত করে এবং হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। যদি এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা স্থায়ী উচ্চ রক্তচাপে রূপ নিতে পারে।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
১. পর্যাপ্ত জল পান করুন:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করা উচিত, বিশেষ করে গরমের দিনে বা ব্যায়ামের পর। তৃষ্ণার অপেক্ষা না করে নিয়মিত অল্প অল্প করে জল পান করুন।
২. জলসমৃদ্ধ খাবার খান:
তরমুজ, শসা, লাউ, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি জলসমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেলে শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩. অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন:
এই ধরনের পানীয় শরীর থেকে জল বের করে দেয়, ফলে জলশূন্যতা বাড়তে পারে।
৪. ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখুন:
ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়। মাঝে মাঝে ওআরএস বা নারকেল জল খেলে উপকার হয়।