
বিশ্বে এখনও এমন কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি, যা মানুষের ঘুমের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। ঘুমের ওষুধ খেয়েও মানুষকে ঘুমের ঘাটতি পূরণ করতে হলে ঘুমোতেই হয়। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ীই, রাতে লম্বা ঘুম শরীরের পক্ষে আরামদায়ক। তবে যদি কখনও কম ঘুমোনো হয়, সেক্ষেত্রে পরে অতিরিক্ত ঘুমোতে হবেই বলে মতপ্রকাশ করেন চিকিৎসকেরা।
সম্প্রতি ঘুমের সময় নিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ক্যান্সার হিলিং সেন্টারের এমডি এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ তরঙ্গ কৃষ্ণ। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, মানুষের শরীরের ঘাটতি পূরণের জন্য ঘুমের ক্ষেত্রে সেরা সময় কোনটা এবং কেন?
ডাঃ তরঙ্গ জানাচ্ছেন, মধ্যরাতের আগে প্রথম কয়েক ঘন্টার বিশ্রামই যে কোনও শরীরকে মেরামত করতে এবং মনকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে সহায়তা করে। একটি ভিডিওতে এই চিকিৎসক দাবি করেছেন, "সাধু, যোগী, পুণ্যাত্মাদের দেখবেন ভোর ২টো-৩টের সময় ঘুম থেকে উঠে পড়ছেন। কিন্তু দিনভর কাজ করার পরেও তাঁরা ক্লান্ত হচ্ছেন না। তার কারণ, তাঁরা আসলে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। এই রাত ১০টা থেকে ২ টো পর্যন্ত ঘুমোনোর সময়টাই আসলে ঘুমের সুবর্ণ সময়।"
তিনি বলেছেন, "এই সময়টাতে শরীর বিশ্রাম পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে। এই সময়েই বিপাকক্রিয়া সবচেয়ে দ্রুত হয়। শুরুর রাতের এই ঘুম মানুষকে সবচেয়ে বেশি সতেজ করে তোলে। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক ভাবে কোষগুলো এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে এই সময় শরীর সবচেয়ে বেশি সতেজ, পুনরুজ্জীবিত হয়।"
আধুনিক সময়ে ঘুমের বিপদ!
নিজের পোস্টে ডাঃ তরঙ্গ অভিযোগ করে জানিয়েছেন, "আজকাল উল্টো হচ্ছে? বেশিরভাগ মানুষ ঘুমের সুবর্ণ সময়ে জেগে থাকে। কেউ কেউ রাত ২ টায় ঘুমোতে যায়। কেউ কেউ এই সময়ে টিভি দেখে সময় নষ্ট করে। যা শরীরের ক্ষতি করে।"
চিকিৎসকের পরামর্শ, "যদি সুস্থ থাকতে চাও, ফিট থাকা অভ্যাস করো। রাত ১০ টায় ঘুমোতে যাও, যাই হোক না কেন। যদি কখনও কোনও পার্টি বা অনুষ্ঠান থাকে, তবে মাঝে মাঝে বেনিয়ম চলতে পারে। কিন্তু রুটিন করে রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমোতে যাওয়া জরুরি।"
বিজ্ঞান কী বলছে?
গবেষণা বলছে, ঘুমের সেরা সময় হল, যখন শরীরের সার্কেডিয়ান রিদম সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। বিজ্ঞান বলছে, এই সময়টা রাত ১০টা থেকে ভোর ২টার মধ্যেই হয়। তাই রাত ১০টায় ঘুম শুরু করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শরীর সুস্থ হয়ে ওঠে।