
সেক্সটয় বা যৌন চাহিদার কথা নিয়ে আলোচনা করার সময় কখনও কি প্রবীণ মানুষের কথা কেউ ভাবেন? বিশেষ করে এসব ক্ষেত্রে ৬০ পেরনো মহিলাদের চাহিদার কথা কি কেউ কখনও ভেবে দেখেছে? অনেকেরই উত্তর এক্ষেত্রে না-ই হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে ৬০ বছরের পরেও মহিলারা যৌনতার ক্ষেত্রে আগ্রহী। তাঁদের মধ্যে বাড়ছে যৌন খেলনা বা সেক্স টয় ব্যবহারের প্রবণতাও!
বিষয়টা শুনতে আশ্চর্যজনক হলেও, আসলে এটি প্রচলিত ট্যাবু ভাঙছে। দ্য মেনোপজ সোসাইটির অফিসিয়াল জার্নালে লেখা হয়েছে, ৬০ বা তার বেশি বয়সের মহিলারা আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে সেক্স টয় ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি, মার্কিন মুলুকে ৩ হাজার মহিলার উপর করা সমীক্ষা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
কেন সেক্স টয়-এ প্রবীণ মহিলারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন?
এর আগে ইন্ডিয়া টু ডে'র তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, জেন জেড ও মিলেনিয়ালদের মধ্যে সেক্স টয়-এ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এবার দেখা গেল খুব বেশি পিছিয়ে নেই প্রবীণ মহিলারাও। তাঁদের মধ্যেও সেক্স টয় এর ব্যবহার ও এর সুবিধা নেওয়া সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পিছনে কোন কোন কারণ রয়েছে, তা বুঝে নেওয়া যাক
জীবনযাত্রায় একাধিক বদল
যত দিন যাচ্ছে তত বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলার সংখ্যা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা একা থাকতে পছন্দ করছেন। তাঁরা তাঁদের বার্ধ্যকে এসে পৌঁছলেও স্বাধীন জীবনযাপনের ফলে নিজেদের সুখ তাঁরা নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন।
মেনোপজের পরে শারীরিক পরিবর্তন
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে যৌন মিলন যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। এর পাশাপাশি সঙ্গীও বয়স্ক হয়ে পড়লে মহিলারা নানা ধরনের সেক্স টয়-এর অনুসন্ধান করছেন।
প্রবীণদের জন্যও বাজারে অপশন রয়েছে
সেক্স টয়-এর মার্কেট একটা সময় শুধুমাত্র তরুণ-তরুণীদের জন্যই খোলা হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রবীণদের জন্যও বর্তমানে বাজারে অপশন রয়েছে। তাঁদের সুবিধা মতো না না ধরনের আকৃতির সেক্স টয় বাজারে রয়েছে। যা প্রবীণ মহিলাদেরও বিষয়টির দিকে আকৃষ্ট করে তুলেছে।
এই সমীক্ষায় আর কী কী উঠে এসেছে?
এর সহজ অর্থ হল, মহিলারা ৬০-এই বুড়ি এ ধারণা একেবারে ভুল। চিকিৎসকেরা বিস্মিত ভাবে জানাচ্ছেন, প্রবীণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন শব্দ স্মরণে রাখতে সহায়তা করতে পারে।
মেনোপজ সোসাইটির চিকিৎস ক ডঃ মনিকা ক্রিসমাস জানিয়েছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও বহু মহিলা তাঁদের যৌনতা সম্পর্কে অনেক কম জানেন। যেমন অনেক মহিলা বিশ্বাস করেন, যৌনতার সময় প্রচণ্ড উত্তেজনা অনুভব না করার অর্থ কোথাও গলদ রয়েছে। আসলে কিন্তু এটি একটি ট্যাবু। কারণ বেশিরভাগ মহিলারাই প্রচণ্ড উত্তেজনা অনুভব করেন না।
তিনি জানান, চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া সহজ, বাস্তবসম্মত নির্দেশ মেনে চললে যৌন সুস্থতার উন্নতি হতে পারে। প্রবীণ মহিলাদের ক্ষেত্রেও নিয়মিত চেকআপে যৌনতা নিয়ে আলোচনাও করা উচিত। কারণ এরফলে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। মন প্রফুল্ল থাকে এবং মানসিক চাপ কমায়। ফলে নারীরা যে ৬০-এই বুড়ি এই ধারণা বর্তমানে বদলে যাচ্ছে। ৬০ বছরের পরেও অনেক মহিলা নতুন করে নিজেদের যৌনতা আবিষ্কার করে চলেছেন।