Advertisement

World Pneumonia Day: নিউমোনিয়া পাকছে, কীভাবে বুঝবেন? বাঁচার উপায় কী? ডাক্তার জানালেন

নিউমোনিয়া একটি জটিল অসুখ। এই রোগে একটি বা দুই দিকের ফুসফুসের বায়ুথলিতে প্রদাহ হয়। যার ফলে সেখানে পুঁজ বা তরল জমে যেতে পারে। এই কারণে শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্ট। এমনকী প্রাণও যেতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ১২ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস।

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসবিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:43 PM IST
  • নিউমোনিয়া একটি জটিল অসুখ
  • এই রোগে একটি বা দুই দিকের ফুসফুসের বায়ুথলিতে প্রদাহ হয়
  • ১২ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস

নিউমোনিয়া একটি জটিল অসুখ। এই রোগে একটি বা দুই দিকের ফুসফুসের বায়ুথলিতে প্রদাহ হয়। যার ফলে সেখানে পুঁজ বা তরল জমে যেতে পারে। এই কারণে শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্ট। এমনকী প্রাণও যেতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ১২ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস।

আর এই দিনটি উপলক্ষে আমাদের বিশেষ বার্তা দিলেন সিএমআরআই হাসপাতালের পালমোনোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ রাজা ধর। তিনি বলেন, 'নিউমোনিয়া হল সাইলেন্ট কিলার। প্রতিবছর সারা বিশ্বের ২৫ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। আর এই রোগ সাধারণত বয়স্কদেরই বিপদে ফেলে। বিশেষত, যাঁদের বয়স ৬৫-এর বেশি, তাঁদেরই সমস্যার আশঙ্কা। আর মুশকিল হল, সাধারণ সর্দি, কাশির মতো করে শুরু হওয়ার পর, এটা দ্রুত বিপদের দিকে এগিয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় শ্বাসকষ্ট।'

তাই ডাঃ ধর রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে বেশি জোর দিলেন।

কীভাবে রোগ প্রতিরোধ?

  • হাত নিয়মিত ধুয়ে নিতে হবে। হ্যান্ড হাইজিন বজায় রাখলেই নাকে-মুখ হয়ে শরীরে জীবাণু প্রবেশ করার আশঙ্কা কমবে। দূরে থাকবে নিউমোনিয়া।
  • ধূমপান বন্ধ করতে হবে। এটি করলেই ফুসফুস থাকবে সুস্থ।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান। শাক, সবজি এবং ফল বেশি করে খেতে হবে। পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ, ডিম খান।
  • নিয়মিত টিকা নিতে হবে। বিশেষত, কম বয়সে এবং বেশি বয়সে নিউমোনিয়া এবং ফ্লু টিকা নেওয়া মাস্ট। এছাড়া যাঁদের ক্রনিক অসুখ রয়েছে, তাঁদেরও সাবধান হতে হবে। তাহলেই নিউমোনিয়া থেকে দূরে থাকা যাবে।

কেন হয়?

সাধারণত কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেই নিউমোনিয়া হয়।

দ্রুত চিকিৎসা জরুরি

ডাঃ ধর বলেন, 'নিউমোনিয়ার চিকিৎসা রয়েছে। তাই রোগটিকে প্রথমেই ধরে ফেলে শুরু করতে হবে চিকিৎসা। এক্ষেত্রে প্রথমেই রোগ ধরা পড়লে জীবন বাঁচানো সম্ভব। তবে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হলে রোগীকে একটা ঠিক ঠাক রেসপিরেটরি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা উচিত। পাশাপাশি তাঁর কেয়ার যাতে নিতে পারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।'

এছাড়া তাঁর মতে, বর্তমানে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স খুবই সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে। এটা মূলত যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলেই হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এই কারণেই তিনি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই ওষুধ যাতে প্রোটোকল মেনে দেওয়া হয়, তার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।

এই সব লক্ষণে সাবধান

১. কাশি

২. জ্বর

৩. শ্বাসকষ্ট

৪. ক্লান্তি

৫. কাঁপুনি ইত্যাদি।

তাই এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Advertisement

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

Read more!
Advertisement
Advertisement