শীতকালে, আপনি চাদরের নীচে বসে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিতে চান বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চা, যাই করুন না কেন, চিনাবাদামের চেয়ে ভাল খাবার আর কমই আছে। ছোট বাদাম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি হাড়কে মজবুত করে, অন্যদিকে চিনাবাদামে পাওয়া ভালো কোলেস্টেরল শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। এছাড়া এতে উপস্থিত প্রোটিন ও ফাইবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে, এটা বলা যেতে পারে যে চিনাবাদাম স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ। যাইহোক, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে চিনাবাদাম খাওয়া ঠিক কিনা তা নিয়ে প্রায়শই বিভ্রান্তি থাকে। আপনার মনেও যদি বিভ্রান্তি থাকে তবে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে কী বলছেন তা চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ডায়াবেটিসে চিনাবাদাম খাওয়া যাবে কি?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনাবাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। চিনাবাদামে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চিনাবাদামের গ্লাইসেমিক সূচক এবং গ্লাইসেমিক লোডও খুব কম, যার মানে চিনাবাদাম খাওয়ার সময় রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায় না। এছাড়াও চিনাবাদামে অসম্পৃক্ত চর্বি, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাইহোক, এই সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, ডায়াবেটিস রোগীদের চিনাবাদাম খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি
চিনাবাদামের উপকারিতা জেনে এটা নিশ্চিত যে চিনাবাদাম খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তবে এটি খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। ডায়াবেটিস রোগীদের অত্যধিক পরিমাণে চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা 6 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে শরীরে স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস উভয়ই বৃদ্ধি করতে পারে।
এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের কখনই প্যাকেটজাত সল্টেড চিনাবাদাম খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের শুধুমাত্র সাধারণ আগুনে ভাজা চিনাবাদাম খাওয়া উচিত। এছাড়াও তেলে ভাজার পর চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।