Heart Attack and Stroke: সকালে ব্রেকফাস্ট এবং রাতের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের ব্রেকফাস্ট একজন মানুষকে সারাদিন শক্তি দেয় এবং রাতের খাবার শরীর পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রেকফাস্ট ও রাতের খাবারের একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে এবং তা সঠিক সময়ে না করলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সম্প্রতি ১ লাখেরও বেশি মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সকালের খাবার ও রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করা যায়। এই গবেষণাটি নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৭ বছর ধরে ১ লাখেরও বেশি মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় কী পাওয়া গেল?
১ লক্ষ লোকের পর্যালোচনায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকসহ কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রায় ২০০০ কেস পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনের প্রথম খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট দেরিতে খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এটিও উল্লেখ করা হয়েছিল, প্রাতঃরাশের বিলম্বের প্রতিটি অতিরিক্ত ঘণ্টা সেরিব্রোভাসকুলার রোগের ঝুঁকি ৬ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত।
একজন ব্যক্তি কতবার খেয়েছেন, তার উপর নির্ভর করে কোন ঝুঁকি ছিল না। গবেষণাটি হাইলাইট করেছে, দিনে কতবার খাচ্ছেন কোনও ব্যক্তি, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কতক্ষণ পর বা কোন সময়ে খাচ্ছেন।
রাতের খাবারের সময়
গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, রাত ৯টার পর রাতের খাবার খেলে স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (টিআইএ) হওয়ার ঝুঁকি ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কারণ কেউ দেরি করে রাতের খাবার খেলে হজমের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালীগুলির আরও ক্ষতি করতে পারে, রক্ত জমাট বাঁধা, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
মেয়েরা বেশি ঝুঁকিতে, কারণ মোট মানুষের ৮০ শতাংশই মহিলা। এটি পুরুষদের উপর কম প্রভাব ফেলে বলে মনে হয়। জানা গেছে, পুরুষরা দেরিতে ব্রেকফাস্ট করলে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি ১১ শতাংশ বেড়ে যায়।
রাতে উপবাস
রাতে দীর্ঘ সময় উপোশ রাখার কিছু উপকারিতাও গবেষণায় দেখা গেছে। কেউ যদি রাতে রোজা রাখেন, তাহলে প্রতি অতিরিক্ত ঘণ্টায় স্ট্রোকের ঝুঁকি ৭ শতাংশ কমে যায়।