জঙ্গল পাহারায় দক্ষ এই কুনকি হাতির ঘর গত তিন বছর ধরে ভেঙে পড়ে থাকলেও আজও তা ঠিক করে উঠতে পারেনি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনকর্তারা। জলদাপাড়া বনকর্তারাদের সাফাই বনদপ্তরের কাছে পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় শ্রীমন্তের পিলখানা সারাই করা যায়নি।
বিখ্যাত হস্তী বিশারদ অসমের পার্বতী বড়ুয়া জানিয়েছেন এভাবে বেশি দিন চললে আরেক কুনকি হাতি মৈনাকের মতো শ্রীমন্তের মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। তাই বনদপ্তরের উচিত দ্রুত ওই কুনকি হাতির পিলখানা তৈরি করে দেওয়া। পার্বতী বড়ুয়া বলেন, এমনই জঙলি হাতিদের ক্ষেত্রে ঝড়,বৃষ্টি, ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা থাকে। কিন্তু পোষ মানা কুনকি হাতিদের সেই সহ্য ক্ষমতা থাকে না। কারণ ছোটবেলা থেকেই এরা আরামে থাকে। তাই ওদের সেই সহ্য ক্ষমতা চলে যায়।
এদিকে শ্রীমন্তের পিলখানা না থাকায় আতঙ্কে থাকেন শ্রীমন্তের মাহুত ইন্দ্রজিৎ ছেত্রী এবং পাতাওয়ায়ালা কিরণ ওড়াওঁ।আচমকাই যদি ওই কুনকি হাতির মেজাজ বিগড়ে যায় তবে মাহুত এবং পাতাওয়ালার প্রাণ সংশয় হতে পারে।
ভৌগোলিক ভাবে জলদাপাড়া নর্থ রেঞ্জের হাসিমারা বিটের গুরুত্ব অন্য বিটের থেকে অনেকটাই বেশি। এর একদিকে ৪৮ নম্বর হাইওয়ে অন্যদিকে তোর্ষা নদী।তাই শ্রীমন্তকে এই বিরাট এবং গুরুত্বপূর্ণ এই বিটে সারাদিন নজর রাখতে হয়।
২০ বছর বয়সের এই হাতি এমনিতেই আরেক কুনকি হাতি মৈনাকের মতো বদ মেজাজের। ২০১৯ সালে জলদাপাড়ায় মাহুত লখিন্দর রাভাকে আক্রমণ করে বসে। শ্রীমন্তের সেই হামলায় লখিন্দরের কোমড়ের হাড় ভেঙে যায়। সেই বছরেই বাইসনের সাথে লড়াইয়ে জখম হয় এই কুনকি হাতিটি।তারপর থেকেই তার মেজাজের পরিবর্তন হয়।
জলদাপাড়া নর্থ রেঞ্জের অফিসার শ্রীবাস সরকার জানিয়েছেন গত তিন বছর থেকে শ্রীমন্তের পিলখানা ভাঙা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে টাকা বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। টাকা বরাদ্দ হলেই শ্রীমন্তের পিলখানা ঠিক করে দেওয়া হবে।