বছর দুয়েক আগে একটি সমীক্ষায় জানা যায় যে, ভারতে প্রতি বছর যত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, তার অন্তত ৩০ শতাংশ হয় অতৃপ্ত যৌনজীবনের কারণে। অতৃপ্ত যৌনজীবন, যথাযথ যৌন পরিতৃপ্তির অভাবই একাধিক সম্পর্ককে ঠেলে দেয় বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে।
কেউ বলেন, প্রচণ্ড শারীরিক ধকল বা মানসিক চাপে ভাটা পড়ে যৌনজীবনে। সাধ থাকসলেও সাধ্যে কুলোয় না। তবে বছর খানেক আগের কয়েকটা গবেষণার রিপোর্ট বলছে, যৌনতায় কার দম কতটা তা অনেকটাই নির্ধারিত হয় কোনও ব্যক্তির রক্তের গ্রুপের মাধ্যমে।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের (Imperial College London) সেক্সচুয়াল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডঃ ডেভিড গোল্ডমায়ার ও তাঁর গবেষকদলের মতে, যাঁদের রক্তের গ্রুপ A, B বা AB, তাঁদের যৌনজীবন সম্পর্কে অন্যদের তুলনায় বেশি সচেতন হওয়া উচিত। ডঃ গোল্ডমায়ারের মতে, এই সব রক্তের গ্রুপের অধিকারীদের শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত ডায়েটের প্রয়োজন।
প্রায় ১০ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষার পর তার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, A, B বা AB গ্রুপের রক্ত যাঁদের, তাঁদের মধ্যে যৌনতায় ক্লান্তি বা অনিচ্ছার বিষয়টি অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ওই গবেষণার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, যাঁদের শরীরে O গ্রুপের রক্ত, তাঁদের মধ্যে যৌনতায় ক্লান্তি বা অনিচ্ছার মতো সমস্যা অনেক কম।
শুধু ব্রিটিশ গবেষকরাই নয়, ইতালির ইউরোলজি এবং অ্যান্ড্রোলজির আর্কাইভ থেকে পাওয়া একাধিক নথিতেও প্রমাণ মিলেছে যে, অকালে যৌনতায় অনিচ্ছা বা শারীরিক সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মতো সমস্যায় রক্তের গ্রুপের প্রভাব অনেকখানি।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য তুরস্কের অর্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ordu University) গবেষকদের মতে, যৌন অক্ষমতার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। এর পাশাপাশি অনেক সময় এই সমস্যা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও হতে পারে। তাই সব মিলিয়ে যৌন জীবনের দুর্বলতার পিছনে রক্তের গ্রুপের যোগসূত্রের ব্রিটিশ গবেষকদের মতামতে দ্বিধাবিভক্ত বিশ্বের বিজ্ঞানীরা।