ভারতে করোনার ভাইরাসের ধ্বংসযজ্ঞ আবারও তুঙ্গে। এটা উদ্বেগের বিষয় যে করোনার এই নতুন স্ট্রেনটি তরুণ এবং শিশুদের জন্য আরও বিপজ্জনক। বয়স্ক এবং শিশুদের সংক্রামিত হওয়ার ঘটনাগুলি হঠাৎ করেই বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আগের চেয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
অকারণে বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের যেতে দেবেন না, বিশেষত এমন জায়গায় এরিয়ে চলতে হবে যেখানে করোনার সংক্রমণ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
সুইমিং পুল - গ্রীষ্মের মরসুম আসার সাথে সাথে কিছু বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের সুইমিং ক্লাসে পাঠাতে শুরু করেন। তবে বর্তমান সংকট বিবেচনা করে সাঁতার ক্লাস বন্ধ রাখাই ভাল। সম্ভব হলে বাচ্চাদের ইন্ডোর গেমে ব্যস্ত রাখুন।
স্পোর্টস কমপ্লেক্স - ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস বা ময়দানে খেলতে হয় এমন খেলা থেকে কিছুদিন দূরে থাকাই ভাল। মনে রাখবেন আপনি কেবল সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে নয়, কোনও বস্তুকে স্পর্শ করেও সংক্রামিত হতে পারেন।
ফাংশন-পার্টি - লকডাউনে না গেলেও রাজ্য সরকারগুলি কার্ফু জারির পছে হাঁটছে। এই অবস্থায় পার্টি-ফাংশন এড়িয়ে চলাই উচিত। আপনার বাচ্চাদের মোটেই এমন জায়গায় নিয়ে যাবেন না। ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরুন।
মল বা বাজার - শপিংয়ের জন্য মল বা বাজারে যাবেন না, বাচ্চাদের নেওয়ার ভুল একেবারেই করবেন না। এরকম জায়গায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াত হয়। এক্ষেত্রে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। বাচ্চাদের বাড়িতে রেখে দিন। যতটা সম্ভব অনলাইনে কেনাকাটা করুন।
জিম বা ফিটনেস সেন্টার - ৩০ বছরের কম বয়সীদের জিম বা ফিটনেস সেন্টারে বেশি দেখা যায়। আপাতত ঘরে বসে ব্যায়াম করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শত শত উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে নিজেকে ফিট রাখতে পারেন।
পার্ক বা খেলার মাঠ - পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলা এবং লাফানোও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্কে খেলা পরে সমস্যায় ফেলতে পারে। এই সময়ে, বাচ্চাদের অন্যান্য লোকদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখুন এবং ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে তাদের ভালভাবে বলুন।
পর্যটনস্থল - গ্রীষ্মের তপ্ত দাবদাহ থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই এই সময়ে হিল স্টেশনে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন। তবে এই সময়ে যে কোনও জায়গায় ভ্রমণ করা সবচেয়ে বড় বোকামি হবে। পর্যটন কেন্দ্র থেকে দূরে থাকুন এবং অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের বাইরে ছড়িয়ে পড়া বিপদ সম্পর্কে অবহিত করুন। তাদের সার্বজনিক জায়গায় না যাওয়ার ব্যাপারে বুঝিয়ে বলুন।