করোনা ভ্যাকসিনেশনের পর কিছু সাইড এফেক্ট থাকে যা কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষে ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর হাতে ব্যথা থেকে বেশ কয়েক দিন। তার সঙ্গে হাত ফুলেছেও। একে অন্য নামে কোভিড আর্মও বলা হচ্ছে।
কেন হয় ব্যথা - বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হাতে ব্যথা অন্যতম সাইড এফেক্ট। প্রায় প্রত্যেকেই এই ব্যথার শিকার হয়েছেন। সামান্য নড়াচড়াতেও ভালো ব্যথা অনুভূত হয়।
এই ব্যথা অস্থায়ী। ভ্যাকসিন নেওযার পর কিছু সময় পর্যন্ত হাতের ওই জায়গাটি অবশ হয়ে যায়। হাতে হওযা ব্যথা এভং ফোলা ভাব থেকে বোঝা যায় ভ্যাকসিন আপনার শরীরে কী ভাবে কাজ করছে।
ভ্যাকসিন লাগানোর পর শরীরে ওই জায়গাটিকে আঘাত লাগার মতো ট্রিট করে। তার জন্য ব্যথা জায়গায় আরাম পৌঁছাতে ইমিউস সেল পাঠায়। এই সেল ভাযকসিনের জায়গায় ইনফ্লামেশন তৈরি করে। যা ভবিষ্যতে জীবাণু থেকে শরীরকে বাঁচায়। এই প্রক্রিয়াকে চাকিৎসার ভাষায় রিয়্যাক্টোজেনেসিটি বলা হয়।
তরল ভ্যাকসিনের কারণে মাংসপেশীতে জ্বালা অনুভব হয়। কোভিড আর্মের জন্য বিশেষ ভাবে mRNA জাতীয় ভ্যাকসিন যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের হাতে ব্যথা এবং ফোলা ভাব বেশি হয়েছে। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ব্যথা ২-৩ দিনের মধ্যে চলে যায়। খুব বেশি হলে ৫ দিন পর্যন্ত ব্যথা থাকতে পারে। তবে এক সপ্তাহ পরেও যদি ব্যথা না কমে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ইনফ্লামেশনের কারণে এলার্জি, ব্যথা, চুলকুনি, জ্বালা ভাব, জয়েন্টে ব্যথা, সর্দি-জ্বরের মতো সমস্যা হতে পারে। এটা শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমে ভ্যাকসিনের প্রভাবের কারণে হয়ে থাকে।
যদি শরীরে আগে থেকে কোনও কারণে ইমফ্লামেশন থাকে সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের ফলে ব্যথা বেশি হয়। একই সঙ্গে বেশি দিন পর্যন্ত ব্যথা স্থায়ী হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে এই ব্যথা এবং ফোলা ভাব থেকে বোঝা যায় ভ্যাকসিন শরীরে ঠিক কাজ করছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শীরের ইনফ্লামেশনের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডিও তৈরি করে। তাই ব্যথা, জ্বলা এভং ফোলা থাকলে বুঝবেন ভ্যাকসিন কাজ শুরু করে দিয়েছে।
ব্যথা কমানোর জন্য কিছু টোটকা পরখ করে দেখতে পারেন। ব্যথা এবং ফোলা বরফ বা গরম জলের সেঁক নিতে পারেন। স্নানের সময় সামান্য গরম জলে একটু নুন ফেলে স্নান করলে গায়ে ব্যথা কমতে পারে।