Advertisement

লাইফস্টাইল

'মল' আর 'ত্যাগ' নয়, এখন থেকে 'দান' করুন, হয়ে যান Good Poo Donor

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 03 Jan 2022,
  • Updated 6:59 PM IST
  • 1/10

নেত্রদান, রক্তদান, অঙ্গদান, শরীরদান, এগুলো আমরা শুনেছি। কিন্তু দানের তালিকায় যে বস্তুটি নতুন সংযোজিত হয়েছে, তা শুনলে প্রাথমিকভাবে নাক সিঁটকে উঠতে পারে। কারণ একে আমরা বরাবরই লুকিয়ে-ছুপিয়ে গোপনে ত্যাগ করতেই ভালবাসি। সবার ব্রাত্য মল বা বিষ্ঠা। তাই এ জিনিসও যখন দান করা যায় বলে যখন জানা যায় তখন নাক একটু সিঁটকায় বইকি?

 

  • 2/10

একে বলে মল দান। এর চাহিদা বিগত বেশ কিছুদিন ধরে উত্তরোত্তর বাড়ছে। কারণ মল থেকে অন্যত্র সম্বন্ধীয় রোগের নতুন চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে। দানে আসা মল থেকেই এই চিকিৎসা হচ্ছে। যারা দান করেছেন যে সমস্ত বিষ্ঠা এখন SUPER POOতে পরিণত হচ্ছে। দানকারীদের GOOD POO DONORS বলা হচ্ছে। অর্থাৎ অন্যের ভালো মল এখন থেকে আপনার অন্ত্রের রোগের চিকিৎসা করবে। সঙ্গে ডিজাইনার ব্যাকটেরিয়া তৈরি করার কাজে আসবে ওই মল। যাতে পেটের রোগের চিকিৎসা হচ্ছে।

  • 3/10

GOOD POO DONORS দের বলা হচ্ছে ইউনিকর্ন। কারণ এদের খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। ভালো মল দান করার জন্য বহু লোকের দেওয়া মল ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ মল প্রত্যার্পণ করছেন। অর্থাৎ এই নতুন ট্রেন্ড এর কারণে মানুষের মাইক্রোবায়োম অর্থ অন্ত্রের ভিতরের মাইক্রোবসের নতুন পড়াশোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্ত্রের ভিতর মাইক্রোবস অর্থাৎ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া মধ্যে বদল করে মানুষের পেটের রোগ ঠিক হয়ে যাচ্ছে।

  • 4/10

অন্ত্রের মাইক্রোবস অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া শুধু খাবার পচন ঘটাতে অর্থাৎ এবং প্রক্রিয়ায় সম্বন্ধিত কাজই শুধু করে না, পাশাপাশি আপনার মন ও ভালো রাখে। প্রতিরোধক ক্ষমতা মজবুত করে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে রাখে। সমস্যা হচ্ছে এটাই জীবনের পরম্পরা অর্থাৎ ফাস্টফুড এবং অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের মাইক্রোবসকে নষ্ট করে দেয়। মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম অর্থাৎ অন্ত্রে বসবাসকারী সূক্ষ্ম ব্যাকটেরিয়ার দুনিয়া।

  • 5/10

বেশ কিছুবার এমন হয় যে কিছু লোক মাইক্রোবায়োম এতটা খারাপ হয়ে যায় যে তাকে ঠিক করতে গিয়ে অন্য মানুষের মলের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ আপনি যদি মনে করেন যে অন্যের শরীর থেকে বের হওয়া মহল আমাদের কীভাবে সাহায্য করবে, তাহলে জেনে নিন, যে যদি কোনও সুস্থ মানুষ তার উচ্চমান ও যুক্ত ভালো মল দান করে দেন তাহলে তা প্রত্যার্পণ অর্থাৎ ট্রান্সপ্লান্ট করে আপনার শরীরে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলি ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। যা আপনার অন্ত্রে ফের ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করবে।

  • 6/10

যদি কোনও সুস্থ মানুষ উচ্চ গুণযুক্ত মল প্রত্যার্পন অসুস্থ মানুষকে করেন তাহলে তার বিভিন্ন রকম রোগ থেকে ঠিক হয়ে যেতে পারেন। যেমন ক্লাসট্রিটিয়াম দিফিসাইল কোলাইটিস এর কারণে ডায়রিয়া, সেফসিস এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু যদি ওই মল আপনার অন্ত্রে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তাহলে আপনি অনেক রকমের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মল ঢোকানোর মানে হল  ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ স্টুল ট্রানস্প্লান্ট।

  • 7/10

অ্যাডিলেডের বায়োম ব্যাংক এর চিফ মেডিকেল অফিসার স্যাম কোস্টলি এবং চিফ এক্সিকিউটিভ থমাস মিচেল এমনই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও খোঁজ করছেন। তাদের মধ্যে উচ্চ গুণযুক্ত রয়েছে এমন মানুষ নিজেদের মল দান করে দেন, এমন লোক খুঁজছেন তাঁরা। এমন লোককে বায়োম ব্যাংক নিজেদের প্রয়োগশালায় সম্বর্ধনা দিয়ে তাদের প্রত্যর্পণের জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। যাতে সে সমস্ত অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করা যেতে পারে।

  • 8/10

এই কাজের জন্য বায়োম ব্যাংকে একটি দুর্দান্ত টয়লেট বানানো হয়েছে। মানুষের মল এখানে সোজা লম্বা একটি মেশিনে চলে যাবে। সেখানে তাদের ভাল এবং গুণযুক্ত ব্যাকটেরিয়াগুলি বের করে নেওয়া হবে। তাদের কোম্পানি নিজেদের সেক্রেট থেরাপির মাধ্যমে আরও ভাল করে তুলবে। এরপর আলাদা আলাদা রোগের জন্য ওই ব্যাকটেরিয়াকে ব্যবহার করা হবে। সেইসঙ্গে রাসায়নিক বিভিন্ন পদার্থের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যাকটেরিয়ার শক্তি বাড়ানো হবে। তারপর তাকে আলাদা সিরিঞ্জে যে ভরে রেখে দেওয়া হবে।

  • 9/10

মলদ্বারের জন্য পাওয়া স্যাম্পল যাচাই করে স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা ব্যবহার করা হবে। এক্সপার্ট ডাক্তার এমিলি টাকার জানিয়েছেন যে আমরা কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে তার মল নিয়ে আগে বেশ কিছু পদ্ধতিতে তা যাচাই করে নেওয়া হয়। যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে সেই মলটি উচ্চ ঘনত্বযুক্ত এবং তাতে ভালো ব্য়াকটিরিয়া রয়েছে তবে তা ব্যবহার করা হয়। ওই ব্যক্তি যিনি মল দান করছেন, তাঁর মেডিকেল হিস্ট্রি, ট্রাভেল হিস্ট্রি , এবং অ্যান্টিবায়োটিক হিস্ট্রি যাচাই করা হয়। যাঁরা মলদান করতে চান তাঁদের ৮ সপ্তাহের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

  • 10/10

স্যাম কোস্টলি জানিয়েছেন যে মানুষ একমাত্র এমন জীবন, যার শরীরের ভেতরে ব্যাকটেরিয়ার অফুরন্ত ভান্ডার রয়েছে। এর মধ্যে এতটাই বৈচিত্র্য রয়েছে, যা কল্পনা করা যাবে না। এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলি এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের পড়াশোনার মধ্যে ধরা পড়েনি। মানুষের শরীরে এমন ধরনের কিছু কিছু খাবার খাওয়া হয়, যা আলাদা আলাদা দেশ কালভেদে আলাদা।

Advertisement
Advertisement