বেশিরভাগ লোক মনে করেন যে কোনও ব্যক্তির কথা বলার ধরণ থেকে তার স্বভাব জানা যায়। কিন্তু আপনাকে জানিয়ে দিই যে ব্যক্তির এগুলি অনেকটাই গৌণ।
কারও হাঁটা বা চলার ধরণ থেকেই তাঁর ব্যক্তিত্বের বিষয়ে বেশিরভাগ জিনিসই জানা যায়। আসুন আমরা জেনে নিই আপনার চলার স্টাইল আপনার বিষয়ে কী বলছে?
দ্রুত চলা
যদি কোনও ব্যক্তি খুব হন্তদন্ত হয়ে হাঁটাচলা করেন, তাহলে এটি থেকে বোঝা যায় যে তার কোনও জায়গায় খুব দ্রুত পৌঁছতে হবে তাই সে সেভাবে চলছে। কিন্তু সাধারণভাবে দেখা যায় যে হাতে আধঘণ্টা সময় থাকলেও দশ মিনিটে সে, সেই রাস্তা সে চলতে পছন্দ করে বা অচেতন মনেই সেভাবেই হাঁটে।
কেমন চরিত্র
দ্রুত চলার মানে হল সে কনফিডেন্সে ভরপুর। এই ধরনের লোক অত্যন্ত সাহসী হন। অন্য লোকেদের কাছে আশা করেন যে তাঁরা, তাঁর সঙ্গে সঙ্গে খুব দ্রুত কাজ করবেন। তাঁরা খুব এনার্জেটিক হন।
ধীরেসুস্থে চলা
অনেক আস্তে- ধীরে চলা পছন্দ করেন। বাস বা ট্রেন মিস হলেও তাঁদের যেন কোনও হেলদোল নেই বলে মনে হয়। হাতে থাকা সময় চলে গেলেও সে বা তিনি নিজের গতিতেই থাকেন ও চলেন।
যে সমস্ত লোকেদের জীবনে কোনও চিন্তা থাকে না, তারা ধীরে সুস্থে চলেন বা তারা চিন্তাকে খুব ক্যাজুয়ালি নেন। তাঁদের ধীরেসুস্থে চলার পিছনে তাদের শান্ত মন এবং স্বভাব কাজ করে।
পা টেনে চলা যে সমস্ত লোকেরা মাটিতে পা টেনে চলতে চলেন তাদের খুব দ্রুত রাগ হয় এই সমস্ত লোকেরা স্বভাবে অত্যন্ত উৎসাহিত থাকেন এবং যেকোনো বিষয়ে খুব দ্রুত নিরাশ হয়ে যান
চুপচাপ চলা
যে সমস্ত লোকেরা খুব ধীরেসুস্থে ভীতি বা ভয়ের সঙ্গে ভয়ে ভয়ে হাঁটাচলা করেন, সে সমস্ত লোকেরা অত্যন্ত লাজুক হন। এ সমস্ত লোকের আত্মসম্মানে ঘাটতি থাকে।
এই ধরণের লোকেরা কনফিডেন্স মাঝেমধ্যেই হারিয়ে ফেলেন। এজন্য চুপচাপ, ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে তাঁরা থাকেন ও সেভাবেই হাঁটাচলা করেন। এই ধরনের লোকেদের জোরে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চলার এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র ব্যক্তিত্ব এবং স্বাভাবিক যে জানা যায় তা নয়, বরং আপনার চলার ভঙ্গিমা বা কায়দায় আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কেও বেশ কিছু খোঁজ পাওয়া যায়।
তবে সচেতনভাবে হাঁটা বদলে দিলে খুব একটা লাভ হয় না। এটা মানুষের জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে মিশে যায়। তবে যার চরিত্রের যা খামতি তা কিছুটা ধাতস্থ করা যায় মানসিক কাউন্সেলিংয়ের দ্বারা।