সেক্সুয়াল সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পুরুষরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। ডাক্তারের কাছে গিয়েও তাঁরা এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে চান না। তবে চিকিৎসকদের মতে, সেক্সের সঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
তবে কথা না বলতে চাইলেও সমস্যার সমাধান হয় না। চিকিৎসকদের মতে, সময় থাকতে যৌন অক্ষমতার সঠিক চিকিৎসা হলে তবেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। একজন অ্যান্ড্রোলজিস্ট এর সঠিক চিকিৎসা করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সেক্সুয়াল হেল্থ নিয়ে ৪ ধরনের সমস্যা অনুভব হয়, তবে বুঝবেন অবিলম্বে অ্যান্ড্রোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করে তার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
শীঘ্রপতন - যৌন সঙ্গমের সময় যদি শীঘ্রপতনের সমস্যা থাকে তবে বুঝবেন প্রি ম্যাচিওর ইজ্যাকুলেশনের সমস্যায় ভুগছেন। সাধারণ কম বয়সিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এটা যে কোনও বয়সি পুরুষদের ক্ষেত্রেই হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্যা থাকলে বেশি বয়সে গিয়ে ইরেক্টাইল ডিসফাংকশনের সংকেত হতে পারে। এই সমস্যা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার থাকলেও হতে পারে।
যৌন চাহিদায় ভাটা - এর মানে ক্রমশ যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া। এই সমস্যা টেস্টোস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়। এই হরমোনের সম্পর্ক আমাদের সেক্স ড্রাইভ, স্পার্ম প্রোডাকশন, চুল এভং হাড়ের সঙ্গে জড়িত।
টেস্টোস্টেরন পুরুষদের দেহ এবং মুডকে প্রভাবিত করে। ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, বা সম্পর্কের জটিলতার কারণে সেক্সুয়াল ডিজায়ার কমে যেতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট জনিত চিকিৎসার কারণেও এটা হতে পারে।
ইনফার্টিলিটি - এর অনেক কারণ হতে পারে। হরমোনের তারতম্য, ভেরিকোলেসে এবং সেক্সুয়াল ডিনফাংকশনের মতো নানা সমস্যার কারণে পুরুষদের মধ্যে ইনফার্টিলিটি দেখা যায়।
ইরেক্টাইল ডিসফাংকশন - যদি যৌন সঙ্গমের সময় ইরেকশনে সমস্যা হয় বা সঙ্গম চলাকালীন ইরেকশন ধরে রাখতে সমস্যা হয় তা হলে আপনি ইরেক্টাইল ডিসফাংকশনের শিকার হতে পারেন। এটা তখনই হয় যখন পুরুষের লিঙ্গে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয় না।
এই সমস্যার সঙ্গে নানা শারীরিক সমস্যা জড়িত থাকতে পারে। যেমন ভাসকিউলার ডিজিজ, থাইরয়েডের তারতম্য, ডায়াবিটিস এবং হাইপার টেনশন। চিকিৎসকরা বলেন, এই সমস্যা অ্যাংজাইটি, স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের মতো মানসিক সমস্যআও জড়িত থাকতে পারে।