পুজোয় হাজার দুঃসংবাদের মধ্য়েও সুখবর। কিছুটা হলেও মানুষকে বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য ভাল খবর নিয়ে এল বেঙ্গল সাফারি পার্ক।
পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য খুশির খবর এবার শিলিগুড়িতে এলেই মিলবে হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গল সাফারি করার সুবর্ণ সুযোগ।
একটানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে ফের শুরু হলো হাতি সাফারি। বুধবার থেকেই শুরু হয়ে গেল সাফারিটি।
কীভাবে হবে সাফারি তা জানিয়ে দিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। আপাতত সারাদিনে ৬ বার সাফারির সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
সাফারির খরচও অত্যন্ত কম ধরা হয়েছে। প্রতিটি সাফারির জন্য পর্যটকদের মাথা পিছু ৩০০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালু হওয়ায় বেশি লোক প্রথম দিন সাফারি করতে পারেননি। .তবে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে উৎসাহ ছিলেন
তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, প্রথম দিনই বেশ কয়েকজন হাতি সাফারি করেছেন। তাঁরা হাতির পিঠে চড়ে অত্যন্ত খুশি। সাফারি দ্রুত জনপ্রিয় হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
শিলিগুড়ি সংলগ্ন সালুগাড়াতে রাজ্য সরকারের তরফে তৈরি করা হয়েছে রাজ্যের অন্যতম সাফারি পার্ক বেঙ্গল সাফারি পার্ক।
তবে করোনার জেরে গত ৪ মাস ধরে তা বন্ধ ছিলো এই পার্ক। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পার্ক খোলা হয়েছে।
বাঘ সাফারি থেকে শুরু করে হরিণ, ভাল্লুক, চিতা সাফারিও শুরু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিলো হাতি সাফারি। অবশেষে বুধবার থেকে সেই সাফারিও শুরু হয়ে গেল।
এদিন পার্কে থাকা দুই হাতি লক্ষ্মী ও উর্মিলার পিঠে চড়ে শুরু হল জঙ্গল সাফারি। সাফারির প্রথম দিন তাদের আচরণে খুশি রাইডাররাও। বেঙ্গল সাফারি পার্কে তরফে জানানো হয়েছে আপাতত সারাদিনে ৬ বার সাফারি হবে। তবে সাফারির জন্য পর্যটকদের মাথাপিছু ৩০০টাকা করে ধার্য করা হয়েছে।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ বলেন, এক ট্রিপে আধ ঘন্টা করে পার্কের জঙ্গলে হাতির পিঠে চড়ে সাফারি করা যাবে।
তার জন্য মাথাপিছু ৩০০টাকা করে টিকিট কাটতে হবে। ৬ জন করে একটি সাফারিতে যেতে পারবেন। করোনার প্রথম ঢেউ এর সময় আমরা এই সাফারি বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
মাঝে পার্ক খুললেও হাতি সাফারি বন্ধই ছিলো। এবার সকলের টিকাকরণ হয়ে যাওয়াতে আমরা আবার এই সাফারি চালু করে দিলাম। কারণ হাতি সাফারির একটা চাহিদা সবসময় রয়েছে।
অন্যদিকে প্রথম দিন জলপাইগুড়ি থেকে আসা শর্মিষ্ঠা মজুমদার বলেন, আমরা সাফারি পার্কেই ঘুরতে এসেছিলাম। এখানে এসে জানতে পারি হাতি সাফারিও শুরুও হয়েছে। তাই আর লোভ সামলাতে পারিনি। সাথে সাথে টিকিট কেটে আমরা চড়ে ফেললাম। খুব ভালো লাগল একটা দারুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলাম।