নিজেকে ট্রেন্ডি দেখাতে কিংবা পাকা চুল ঢাকতে বহু মানুষ চুলে রং করান। দেখতে ভাল কিংবা ফ্যাশনেবল লাগলেও, এই সব রঙের ব্যবহারে চুলের বড় ক্ষতি হতে পারে।
কিছু চুলের রঙে অ্যামোনিয়ার মতো যৌগও থাকে যা চুলের কিউটিকল খুলে দেয় যাতে রং প্রবেশ করতে পারে। অন্যদিকে, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড চুলের প্রাকৃতিক স্তর অপসারণ করে রং করার জন্য এটি প্রস্তুত করে। এটি ত্বকের উপরের স্তর (এপিডার্মিস) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং জ্বালা বা ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
রাসায়নিক রং চুলের ফলিকল ধ্বংস করতে পারে। নতুন চুল গজানোর জন্য চুলের ফলিকল প্রয়োজন। যদি তাদের জায়গায় দাগের টিস্যু তৈরি হয়, তাহলে চুল গজাতে অসুবিধা হয়। এজন্যে চুলে রং করাতে চাইলে, কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
প্যাচ টেস্ট করতে ভুলবেন না
চুলে রং করার ৪৮ ঘণ্টা আগে, কনুইতে বা কানের পিছনে সামান্য রং করে দেখুন। যদি জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা লালচে ভাব থাকে, তাহলে রং না করাই ভাল। এটি অ্যালার্জি সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
চুল এবং স্ক্যাল্প বুঝুন
যদি স্ক্যাল্প জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা ক্ষত থাকে, তাহলে সেই সময় রং করবেন না। প্রথমে সমস্যাটি সেরে যেতে দিন, অথবা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
ভাল মানসম্পন্ন পণ্য বেছে নিন
সব সময় ভাল এবং এবিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের চুলের রং ব্যবহার করুন। সস্তা বা স্থানীয় পণ্য কেনা এড়িয়ে চলুন।
বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে স্যাঁলো বেছে নিন
সর্বদা ভাল স্যাঁলোতে যান, সস্তায় করতে গিয়ে যেখানে সেখানে চলে যাবেন না। শুধুমাত্র একজন অভিজ্ঞ এবং পেশাদার হেয়ারড্রেসারের কাছে চুল রং করান।
রং লাগানোর সময় যদি জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক ধুয়ে ফেলুন।
রং করার পর যত্ন
রং করার পর, একটি হালকা শ্যাম্পু এবং একটি ভাল কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যাতে চুল এবং স্ক্যাল্প সুরক্ষিত থাকে।