আজকাল, বেশিরভাগ মানুষের প্রতিদিনের রুটিন অফিসের কাজকর্মে ব্যস্ত থাকা। এই কারণে মানুষে শারীরিক অনুশীলনের দিকেও মনোযোগ দেয় না। তবে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রদত্ত পরিসংখ্যানগুলি বেশ ভীতিজনক। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর মতে, ২০১৬ সালে দেখা গেছে যে স্ট্রোক ও হার্টের অসুখের কারণে ৭৪৫,০০০ মৃত্যু হয়েছে প্রতি ঘন্টায়। ২০০০ সালের পর থেকেই ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে। ডাব্লুএইচও এবং আইএলও অনুসারে, ২০১৬ সালে, সপ্তাহে কমপক্ষে ৫৫ ঘন্টা কাজ করার কারণে ৩৯৮,000 লোক স্ট্রোক এবং ৩৪৭,000 লোক হৃদরোগে মারা গিয়েছিল। ২০০০ থেকে ২০১৬ এর মধ্যে, দীর্ঘমেয়াদী কাজ হৃদরোগের মৃত্যু ৪২% এবং ১৯% স্ট্রোক বেড়ে গিয়েছে।
বেশি ঘন্টা কাজ করার কারণে যে রোগ হয় তা বেশিরভাগ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলিতে এবং মধ্যবয়স্ক বা বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এর সঙ্গে, মৃত্যুর হার ৭২% পুরুষদের মধ্যে দেখা গেছে। সর্বাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ৬০ থেকে ৭৯ এবং ৪৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সের মধ্যে যারা প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘন্টা বা তার বেশি পরিশ্রম করেছেন।
বেশি ঘন্টা কাজ করাই রোগগুলির হওয়ার বৃহত্তম কারণ। অন্যদিকে কাজের চাপ বাড়ছে সঙ্গে এই রোগগুলির ঝুঁকিও বাড়ছে। এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য একটি মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক, পেশাগত ঝুঁকির মতো কারণগুলিকে নির্দেশ করছে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে মানুষের মনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ বা তার বেশি ঘন্টা কাজ করা সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘন্টা কাজ করার তুলনায় স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশেরও বেশি এবং ইস্কেমিক হার্টের অসুখের ঝুঁকি ১৭% এরও বেশি বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। এই ধরনের অভ্যাস বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে কাজ সম্পর্কিত রোগ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
এই নতুন বিশ্লেষণ এমন সময়ে এসেছে যখন কোভিড -১৯-এর মহামারী চলাকালীন আরও কয়েক ঘন্টা কাজ করার প্রবণতা সামনে এসেছিল। এর মতে মহামারীতে আরও বেশি ঘন্টা কাজ করায় উত্সাহিত করা হচ্ছে।