সিগারেট, হুক্কা, বিঁড়ি-জাতীয় ধূমপানকারীদের জন্য সতর্কবার্তা। এই ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কে জমাট বাঁধে কুয়াশা। শীতের ভোরে শহরে যেমন কুয়াশা দেখতে পাওয়া যায়, এই কুয়াশা অনেকটাই তাই। এর ফলে অনেক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যেমন কাজে মন বসার ক্ষমতা নষ্ট, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। সম্প্রতি রচেস্টার মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি নতুন গবেষণায় এটি প্রকাশিত হয়েছে। ( সব ছবি- গেটিইমেজেস)
ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টার মেডিকেল গবেষকরা বলেছেন, যে শিশুরা যদি ১৪ বছর বয়সে কিংবা তার কমে ধূমপান শুরু করে তবে তাদের মস্তিষ্কে মানসিক কুয়াশার ঝুঁকি বেশি থাকে। এর ফলে তাদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
ইউআরএমসির ক্লিনিকাল অ্যান্ড ট্রান্সলেশনাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং এই স্টাডিজের গবেষক দংমেই লি বলেছেন, আমাদের অধ্যয়নটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যেকোনও প্রকার ধূমপানই মস্তিষ্কে ক্ষতি করে। আমাদের জার্নালে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ হয়েছে।
এই গবেষণা চালানোর জন্য প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮.৮৬ লাখ লোকের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমেও কথা বলা হয়।
এই সমস্যাটি যে কোনও বয়সের ধূমপায়ীদের সঙ্গে হতে পারে। ধূমপানের কারণে সৃষ্ট মস্তিষ্কের কুয়াশা প্রতিটি ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে। তা শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক বা বৃদ্ধ হোক না কেন। দংমেই লি বলেছেন যে কিশোরদের মধ্যে ধূমপানের অভ্যাস বাড়ছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের যদি কোনও এমন রোগ থাকে তবে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
দংমেই লি বলেন, ই-সিগারেটে কম ক্ষতিকারক পদার্থ রয়েছে তবে নিকোটিনের পরিমাণ একই থাকে। কখনও কখনও আরও বেশি থাকে। ই-সিগারেট গ্রহণযোগ্য দেশগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ। কৈশোরে ধূমপানের ফলে মস্তিষ্ক খুব দ্রুত সক্রিয় হয় না। তার বিকাশ থেমে যায়।
দংমেই লি বলেন, যদি নিকোটিন মস্তিষ্কে যায় তবে মানবদেহে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস করে। সবার সঙ্গেই এটা হয়।। কিছু লোক এটিকে রিল্যাক্সেশন এবং ওষুধ বলে থাকেন। কিন্তু এর সুবিধা কেউ পায় না।